স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেশিশক্তি দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাদী ও ভুক্তভোগী পরিবার। রবিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৪টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মামলার বাদী মোছাঃ নাসিমা বেগম ও আসামী মুহিবুর রহমান মবু, খসরু মিয়া স্বাক্ষী রহমত আলী।
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী মৃত কদর আলীর স্ত্রী ও গোজাখাই’র গ্রামের নাসিমা বেগম বলেন, ‘নবীগঞ্জ শহরের খালিক মঞ্জিলের মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর বাসায় আমি কাজ করতাম। এক পর্যায়ে উক্ত বাসার আরেক সদস্য কুহিনুর রহমান আমাকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর কাছে বিচার প্রার্থী হলে তারা বিভিন্ন ধরণের ছলচাতুরী, মারধর ও তাদের পরামর্শে আমি আদালতে একটি মামলা করি। এতে দেখা যায়, প্রকৃত অপরাধীকে মামলার আসামী না করে নিরীহ লোকজনকে মামলার আসামী করা হয়েছে। এক পর্যায়ে আমি আদালতে প্রকৃত অপরাধীর তথ্য তুলে ধরি এবং আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’
মুহিবুর রহমান মবু লিখিত বক্তব্যে বলেন- ‘মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরীর কথামতো কাজ না করায় তারা আমাকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে আসামী করেছে। মামলা দায়েরের পর স্বাক্ষী রহমত আলীসহ ৩ জন হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে স্ব-শরীরে হাজির হইয়া উক্ত মামলার ঘটনার সাথে আমি ও অন্যান্য আসামীগণ জড়িত নহে মর্মে এফিডেভিট প্রদান করেছেন। এছাড়াও ১৬/০৭/২০২৫ ইং তারিখে মামলার বাদীনি হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে হাজির হইয়া মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে বর্ণিত আসামী আমি মুহিবুর রহমান মবু, ছাও মিয়া ও খসরু মিয়া দ্বারা ধর্ষিত হয় নাই, এমনকি আমাদেরকে চিনেন না মর্মে এফিডেভিট প্রদান করিয়াছেন। এই অবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি ও আমার পরিবারের কোন লোকজনের কোন প্রকার ক্ষতি হলে উক্ত মৃনাল চৌধুরী ও দিলাল চৌধুরী এবং তাদের লোকজন দ্বারা সংঘটিত হইবে এবং তারাই দায়ী থাকবে।’