স্টাফ রিপোর্টার || ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, হবিগঞ্জ জেলা বারের সাবেক সভাপতি আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোছাব্বির বকুল, গরু বাজার এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৪৬৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ১৫৪ জন ব্যক্তিকে এজাহারে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত ২-৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র আলা উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন, অ্যাডভোকেট ছালেহ উদ্দিন আহমেদ, ফারুক মহালদার, হুমায়ুন কবির, মোড়াকড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সল মোল্লা, এড়ালিয়া গ্রামের কবির হোসেন, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, মোঃ মাহফুজ মিয়া আবু, মাধবপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসিম, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া, চুনারুঘাটের সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম রুবেল, মজলিশপুর গ্রামের মেম্বার মোহাম্মদ আলী, হবিগঞ্জ শহরের দক্ষিণ অনন্তপুরের এ কবির, বানিয়াচং উপজেলার শতমুখা গ্রামের এনাম খান চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জের মোঃ আব্দুল হাই সজল, হবিগঞ্জ শহরের বাতিরপুরের প্রবাস চন্দ্র রায় পার্থ, আন্দিউড়া ইউনিয়নের মেম্বার সাইফুল ইসলাম, মাধবপুর উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের মাহমুদ তানজিল, মুরাদপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের ইমন মিয়া, শহরের রামজয় মোদকের মালিক অ্যাডভোকেট প্রবাল রায়।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ১৮ জুলাই আসামিরা যাত্রাবাড়ি থানায় পুলিশ বক্সের কাছে ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে দুই ছাত্র নিহত ও শতাধিক ছাত্রজনতা আহত হয়। বাদীও এতে আহত হন।

যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মোঃ খালেদ হাসান বলেন, মামলা রুজু হয়েছে এবং আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।