স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের বিবিসেনা-১ বিল থেকে মাছ ধরছেন আওয়ামীলীগ আব্দুল মান্নান গং। অবৈধ ভাবে মাছ ধরায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিসেনা-১ জলমহাল কয়েক বছর পূর্বে চৌকি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি নামে ইজারা দেন দিরাইয়ের গালিশাল গ্রামের আওয়ামীলীগ আব্দুল মান্নান, শ্রীবাস দাস ও নিখিল বিশ্বাস গং। তারা জলমহালটি (বিল) ইজারা নেওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরে আসছেন। কিন্তু বাংলা ১৪৩০-১৪৩১ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত বিল এর প্রতি বছরের ইজারা ট্যাক্স অন্যান্যসহ ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেননি। ইজারা পরিশোধ না করেই দুই বছর ধরে মান্নান গংরা বিলের মাছ ধরছেন। দু’বছরে তারা মাছ ধরে বিক্রি করে কোটি কোটি আত্মসাত করছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেন। সম্প্রতি ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ইজারা গ্রহিতা সমিতিকে ইজারা মূল্য পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিলে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য তাগিদপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে আব্দুল মান্নান গংরা বিলে মাছ ধরছেন। নির্দেশনার পর তারা বিল থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ ধরেছে জানিয়েছেন মৎস্যজীবি আব্দুস শহীদ। শুধু বিবিসেনা-১ বিলই নয়, আরো কয়েকটি বিলেরও ইজারার টাকা পরিশোধ না করে মাছ ধরা হচ্ছে। সূত্র জানায়, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকতাদের ম্যানেজ করে বিলগুলো থেকে মাছ ধরা হচ্ছে। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে অবৈধ ভাবে মাছ ধরা বন্ধ হত। সরকারও রাজস্ব পেতেন। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রিয়াংকা পাল জানান, বিবিসেনা-১ বিলের দু’বছরের ইজারার মূল্য, আয়কর, ভ্যাট পরিশোধের জন্য বিল ইজারাদারকে নোটিশ দিয়েছি। ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ইজারা গ্রহিতা সমিতিকে ইজারা মূল্য পরিশোধ না করা পর্যন্ত বিলে মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্দেশনার পর যে তারা মাছ ধরছে সেই বিষয়টি আমরা অবগত নই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।