চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। সেখানের ছাত্রছাত্রীরা বেশির ভাগই অবহেলিত। শিক্ষকরা অভিভাবকের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে এবার প্রতিবাদ করলো স্থানীয় জনগণ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উক্ত স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িত। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্লাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলে লেখাপড়ার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয় আর এতে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ সন্তোষ্ট। কিন্তু এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহমান স্কুলে যোগদানের পর থেকেই ক্যামেরায় ক্লাস করতে অপছন্দ করেন। সিসি ক্যামেরা থাকার কারণে ক্লাস ফাঁকি দিতে পারেন না তাই সিসি ক্যামেরা খোলার জন্য তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে কিছু কুচক্রী মহল দিয়ে গ্রুপিং শুরু করেন। চুনারুঘাট বাজার থেকে স্কুলের দূরত্ব বেশি হওয়ায় সঠিক সময়ে স্কুলে না গিয়ে নিজের মনমতো সময়ে যান। ক্যামেরা থাকলে স্কুলে আসা যাওয়ার সময়টি ক্যামেরায় ধরা পড়বে তাই তিনি সেটি সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে শিক্ষক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শিক্ষক আব্দুর রহমান বাহুবলের কালীগজিয়া স্কুলে চাকুরীর শুরুতে একটি মামলায় তিন বছর জেল খাটেন আর পাঁচ বছর চাকুরি হতে সাসপেন্ড ছিলেন। পরে আপসে বিষয়টি মিমাংসা করেন। সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে বিদ্যালয় ও অত্র এলাকায় প্রভাব দেখান। স্কুলটি যাতে ক্ষমতার দাপট ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে বিচার প্রার্থী হয়েছেন এলাকাবাসী।