স্টাফ রিপোর্টার \ হবিগঞ্জে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) সকাল থেকে হবিগঞ্জের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, পরিবার থেকে সাহস না করার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। সোমবার (৫ আগস্ট) সরকার পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় নিরাপত্তার অভাবে অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না।
রহিমা নামে এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয় খুলেছে ঠিকই। কিন্তু এখনো শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসা-বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানকে স্কুলে পাঠানোর সাহস পাচ্ছি না। যতদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, ততদিন বাসায়ই লেখাপড়া করাবো।
এর আগে, বেশ কয়েকদিন ধরে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে সোমবার পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এনডিটিভি জানায়, সংঘাত ঠেকাতে না পারায় তাকে পদত্যাগ করার জন্য ৪৫ মিনিট সময় দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পদত্যাগের পর বেলা আড়াইটার দিকে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি।