স্টাফ রিপোর্টার \ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদ্য সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির ও সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানের বহুতল বাসভবনে তৃতীয় দিনের মতো লুটপাট চালানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুর্বৃত্তরা যে যার মতো করে বাসাগুলো থেকে জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়। দিনভর ওই বাসাগুলো থেকে নানান জিনিসপত্র নিয়ে যেতে দেখা গেছে। এসময় উৎসুক লোকজন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে তা প্রত্যক্ষ করেন। প্রভাবশালী ওই দুই নেতার বাসায় লুটপাটের পাশাপাশি হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের বাসায়ও লুটপাট চালানো হয়।
গত রবিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের সংঘাত হলে অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। সোমবার তাঁর বাসার পাশে অবস্থিত সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বাসায়ও লুট চালায় দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের টাউন হল রোডস্থ অ্যাডভোকেট আবু জাহির ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বহুতল বাসভবন থেকে এসি, গাড়ির যন্ত্রাংশ, কাপড়-চোপড়, কম্পিউটার, টেলিভিশন, ফ্রিজ, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র, গৃহপালিত পশুপাখি, ছাদ বাগানের গাছ, দরজা, জানালা, গ্রীল হাতে হাতে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন লোকজন। সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে করে বিলাশবহুল বাসাগুলো থেকে জানালার কাঁচ, জানালার ফ্রেম, লিফটের দরজাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। এসময় অনেককে উল্লাস করতেও দেখা যায়।
এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের বাসভবনে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, লুটতরাজকারী লোকজন শহরতলীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন। গণ লুটপাটের পর বাসাগুলোতে অবশিষ্ট বলতে কিছু নেই। শুধু তাই নয়, সাবেক এমপি মজিদ খানের বাসার ভাড়াটিয়ারাও লুটপাটের শিকার হয়েছেন।