স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার মীরেরপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে সুলতানা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। সুলতানা একই উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের শহীদ মিয়ার কন্যা।
জানা যায়, নন্দনপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে বিয়ে হয় সুলতানা আক্তারের। এরপর তাদের কোলজুড়ে ৭ মাসের একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। ইদানিং যৌতুকের জন্য সুলতানাকে নাহিদ ও তার পিতা-মাতা নির্যাতন করে। বিষয়টি ফোনে সুলতানা তার ভাই মানিক মিয়াকে জানায়। গতকাল সোমবার রাত ৮টায় পুনরায় শ^শুরবাড়িতে সুলতানাকে মারপিট করা হয়। এরপর সে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এরপর শশুরবাড়ির লোকজন সটকে পড়ে। খবর পেয়ে বাহুবল থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়নি।
নিহতের ভাই মানিক মিয়া আরও জানান, তার বোনকে যৌতুকের জন্য হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় শশুরবাড়ির লোকজন। তিনি বোন হত্যার বিচার দাবি করেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com