স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি আপত্তিকর ভিডিওতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন আরিফ (বাপ্পী) এর নাম জড়ায়। এর দায়ে তাকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার জানা গেল সেই ভাইরাল ভিডিওটি সঠিক নয়। ফরেনসিক তদন্তে দেখা যায় ভিডিওটি ফেক। মোশারফ হোসেন ভিডিওটির ফরেনসিক করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডির আইটি ফরেনসিক শাখায় আবেদন করেন। পরে পুলিশের আইটি বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায় ভিডিওটি এডিট করে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ফরেনসিক শাখা থেকে বলা হয়, ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেনের নমুনা ছবির সঙ্গে ডিভিডিতে রক্ষিত ভিডিওতে দৃশ্যমান পুরুষের মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্যের পরস্পর মিল আছে। ডিভিডিতে রক্ষিত ভিডিওটি (বিতর্কিত আলামত) যুক্ত করা অর্থাৎ এডিট করা হয়েছে এবং বিতর্কিত পোস্টগুলোর আইডি ও লিংকের পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় কে বা কারা উক্ত পোস্ট তৈরি করেছে তার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো মতামত প্রদান করেনি। কিন্তু আপত্তিকর এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় মোশারফ হোসেনকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কর্মকান্ড এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
মোশারফ হোসেন আরিফ বাপ্পী জানান, এটি একটি সুপার এডিট ভিডিও। মূলত তাকে ফাঁসানোর জন্য একটি চক্র ভিডিও তৈরি করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা পরিকল্পিত ভাবে এ ধরণের ভিডিও তৈরী করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছিল। তিনি ভিডিওটির তদন্তের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডির আইটি ফরেনসিক শাখায় আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্ত করে প্রমাণ পায় ভিডিওটি এডিটিং। যারা তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করে তার মানহানি করেছে তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি দলীয় পদ ফিরে পেতে তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করেছেন বলেও জানান।