চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্র্থী হিসেবে নির্বাচন করতে এসে দেশে বিদেশে সোস্যাল মিডিয়ায় আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিনিয়ত ভাইরাল হচ্ছেন। নির্বাচনে মনোয়ন দাখিলের দিন থেকেই সোস্যাল মিডিয়া তার দখলে। তিনি যেখানে যাচ্ছেন, তার সাথে যাচ্ছে শত শত তরুণ। ব্যারিস্টার কোথাও দাড়ালেই শুরু হয় তার ছবি আর ভিডিও ধারণের হিড়িক। মনোনয়ন দাখিল করার দিন হাজার হাজার যুবক ছিল তার সাথে। সেদিন থেকেই তার বক্তব্য এবং শোডাউন দখল করে নেয় সোস্যাল মিডিয়া। স্থান পাচ্ছে দেশের জাতীয় দৈনিক ও ইলেক্ট্রনিক চ্যানেলেও। ইতোমধ্যে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তার প্রার্থীতা জানান দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই হাজারো জনতা তার দিকে মোবাইল কিংবা ক্যামেরা তাক করে ভিডিও ধারণ করে। রাস্তায় হাজারো জনতা জমে যায়। গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলার আসামপাড়া বাজারে গেলে হাজার হাজার জনতা তাকে ঘিরে রাখে। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন। এতে রাস্তায় যানজট ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজও করে। তিনি এর জবাবও দিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে তিনি যান উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের লালচান্দ চা বাগান এলাকায়। সেখানেও দেখা যায় শত শত যুবক তাকে দেখা এবং তার বক্তব্য ধারণ করতে তার দিকে ক্যামেরা তাক করে আছে। এ অবস্থা সারা উপজেলায়। ইতোমধ্যে তিনি ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। এ আলোচনা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে। আবুধাবিসহ কয়েকটি দেশের প্রবাসীরাও সেখানে তার পক্ষে প্রচারণার জন্য পরামর্শ বৈঠক করেছেন। ইতোমধ্যে তাকে অনেকেই যানবাহন এবং নগদ টাকা দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। এনিয়ে চুনারুঘাট মাধবপুরে রীতিমতো হৈ চৈ শুরু হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি।
অনেকেই বলছেন, তার সাথে যাচ্ছে শতাধিক ফেসবুকার ও ইউটিউবার। তার সেলিব্রেটিকে কাজে লাগিয়ে তারা টাকা ইনকাম করছেন। অবশ্য এর সত্যতাও রয়েছে। অনেকেই তার নানা প্রচারণা ও বক্তব্য ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার চালিয়ে ভিউ বাড়াচ্ছেন এবং টাকা আয়ের পথ সুগম করেছেন। কারণ ব্যারিস্টার সুমন মানেই ভাইরাল। তিনি যেখানে যে বক্তব্য দেন তা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। কয়েজন ইউটিউবার জানালেন, ব্যারিস্টার সুমনের ভিডিও মানেই ভাইরাল। তাতে তাদের ভিউ বাড়ার পাশাপাশি আসে টাকাও। তারা অনেক খুশি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি দীর্ঘদিন সোস্যাল মিডিয়ায় কাজ করেছি, সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরছি। আমার ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। এবার নির্বাচন করার কারণে আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই মানুষ আসছে। এতে আমার কি করার আছে। মানুষ আমাকে ভালবাসে, আমি মানুষকে ভালবাসি।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি। এ আসনে ১০ জন মনোনয়ন দাখিল করার পর একজনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়। ব্যারিস্টার সুমন এবং অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী ছাড়া অন্য ৭ প্রার্থীকে এখনো মাঠে দেখা যায়নি।