উত্তেজিত জনতার মহাসড়ক অবরোধ ॥ যানবাহন আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ

মোহাম্মদ আলী সরকার, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের লস্করপুরে হাইওয়ে পুলিশের পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মহিলা ও শিশু সহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- বাহুবল উপজেলার স্বর্ণরেখ এলাকার মরম আলীর স্ত্রী পিয়ারা খাতুন (৫০), একই উপজেলার নোয়গাঁও গ্রামের খুদেজা খাতুন (৫৫), শফিক মিয়ার কন্যা চাঁদনী (৪), ৮ মাস বয়সী তিন্নী, সুমন মিয়ার স্ত্রী শাহেদা খাতুন (৩০), তার মেয়ে ৪ মাস বয়সী জান্নাত ও বাহুবলের মিরপুর এলাকার সিএনজি চালক আজিদ মিয়া (৩৫)। স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল প্রায় সাড়ে ১০টায় লস্করপুর রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই সময়ে মিরপুর থেকে যাত্রী নিয়ে আসা একটি সিএনজি (হবিগঞ্জ থ-১১-৬৯৭০) লস্করপুর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা হাইওয়ে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ওই সিএনজিকে ধাক্কা দিলে সিএনজি উল্টে যায়। এতে সিএনজি চালক সহ ৭ জন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সিএনজি শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। অবরোধের ফলে মহাসড়কে প্রায় দেড়ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে শতশত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হন। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির, বাহুবল থানার ওসি মশিউর রহমান সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও উবাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ রজব আলীর সহযোগীতায় উত্তেজিত জনতার সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হলে উত্তেজিত জনতা অবরোধ তুলে নেয়। দুপুর ১২টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ তথ্য নিশ্চত করে হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির জানান, আমাদের টহল গাড়ি মিরপুরের দিকে যাচ্ছিল। এসময় উল্লেখিত সিএনজি আমাদের পিকআপ ভ্যান দেখে ওই এলাকার ফাঁড়ি রাস্তায় যেতে চাইলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় উবাহাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রজব আলীসহ স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।