আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত করণ, পুলিশ বাহিনী ও সেনাবাহীনী গঠন, কোর্ট কাচারী ও ব্যাংক বীমা সচল করাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ঘটে যাওয়া ক্ষতির মুখ থেকে দেশকে রক্ষা করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু নির্মমভাবে জাতির জনককে হত্যা করা হয়। পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার আসে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল। অতীতে রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। সব কিছুই নতুন করে শুরু করা হলো। বিদ্যুৎ, ব্রিজ কালভার্টসহ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন শুরু হলো। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হলো না। বিএনপি-জামাত জোট দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা নিক্ষেপ করাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে সারাদেশ ত্রাসের রাজত্বে পরিণত করা হলো। আবারো লড়াই সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতার আসার পর দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়ন করা হয়নি। বিশেষ করে গ্রাম হবে শহর সেই নীতিতে আজ বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদসহ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্র্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি। শনিবার বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান। এরপূর্বে উপজেলার প্রতাপপুর একটি সড়কের ফলক উদ্বোধন, উপজেলা পরিষদ ভবন উদ্বোধনসহ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বাস্তবায়নাধীন বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক সাগরদীঘি পরিদর্শন করেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, এলজিআরডি’র প্রধান প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আংগুর মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক প্রমূখ। এছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।