ইউনাইটেড হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট রোকন পলাতক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভূয়া মেডিকেল রিপোর্ট দিয়ে মামলা করায় জখমীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। শুধু তাই নয়, বাদি ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেইন এ আদেশ দেন।
বাহুবল উপজেলার ভাদেশ^র ইউনিয়নের কাশিরামপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম চনুর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে আদালতে ব্যবহার করায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।
জানা যায়, কাশিরামপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন তার বোন জেসমিন আক্তারকে গুরুতর জখমি সাজিয়ে হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকার ইউনাইটেড শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রুকুনোজ্জামান রুকনের কাছ থেকে ভূয়া সার্টিফিকেট নেন। এ সার্টিফিকেট দিয়ে একই গ্রামের আব্দুল হামিদ, সবুজ মিয়া, সুমন মিয়া ও মাসুক মিয়াকে আসামি করে সিআর ২০১ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি রুজু হওয়ার পর আসামিপক্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ তদন্তে প্রমাণ পায় ওই হাসপাতাল থেকে প্রদানকৃত রিপোর্টটি ভূয়া। পরে বিজ্ঞ আদালত মৃত আব্দুল বাছিরের কন্যা জেসমিন আক্তার, তার ভাই জালাল মিয়া ও মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র দরছ মিয়া এবং ইউনাইটেড জেনারেল হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট রুকনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার জেসমিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।