লিটন পাঠান, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে পূজা মন্ডপে হামলা ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মাধবপুর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ২৭ জনকে আসামি করে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পলাতক আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের জোরতৎপরতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামে অতিন্দ্র মল্লিকের বাসভবনে বিশ্বকর্মা পূজায় রাত ১০টা নাগাদ যখন গ্রামের নারীরা আরতি দিয়ে নৃত্য করছিলেন তখন কিছু যুবক এসে নারীদের সঙ্গে নৃত্য শুরু করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে তারা পূজারীদের ওপর হামলা চালিয়ে বিগ্রহ (মূর্তি) ও পূজার প্যান্ডেল (পূজা মন্ডপ) ভাংচুর করে। এ ঘটনায় রামেশ্বর গ্রামের রামপ্রসাদ সরকার (৩৪), সুজন সরকার (২১), শ্যামল সরকার (২৭), অঞ্জন সরকার (২২), গৌতম দাস (২১), নিবেশ সূত্রধর (৪৫), গোবিন্দ সরকার (২৭), পরিমল সরকার (৩০), হীরেন্দ্র সরকার (৩২), শ্যামল (৪৫), অয়ন বিশ্বাস (৭), বিকাশী মল্লিকসহ (২১) আরও ১৫ জন আহত হন। আহতদেরকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আহসান, ওসি রকিবুল ইসলাম খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থতি শান্ত করেন। বুধবার সকালে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় এক সভায় তারা সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ঘটনার রাতেই ওই গ্রামের সফিক মিয়া, ইকবাল মিয়া, মধু মিয়া, হাফিজ মিয়া, সামেদ মিয়া, মোস্তফা মিয়া ও সিদ্দিক আলীকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।