আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে শায়েস্তাগঞ্জের সাবাসপুরের মর্ত্তুজ আলী বললেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অহেতুক হয়রানী এবং ক্ষতিগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক উক্তি দিয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমি ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেলিভিশন, স্থানীয় দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ এবং এর সাথে জড়িত শায়েস্তাগঞ্জের সাবাসপুরের মৃত আঃ সামাদের পুত্র জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাবাসপুরের আব্দুল গফুরের পুত্র মোঃ মর্ত্তুজ আলী। শুক্রবার বিকেল ৪টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মর্ত্তুজ আলী বলেন- জয়নাল আবেদীন মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়ে এবং অহেতুক মিথ্যা মামলায় তাদের জড়িয়ে মান সম্মান নষ্ট ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করাচ্ছে। তিনি একজন চাকুরিজীবী। দীর্ঘ চাকুরিজীবনে অত্যন্ত সুনামের সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চাকুরির পাশাপাশি নিজের পরিবার তথা গ্রামের অসহায় নিরীহ মানুষের দুর্দিনে পাশে থেকে তাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় বলিষ্ট ভূমিকা রেখে আসছেন। অন্যায়, অবিচারের প্রতিবাদ করা যেন তার দায়িত্ববোধের অংশ। তার এহেন কর্মকান্ডে এক শ্রেণির মানুষের কাছে ইহা ভাল মনে হচ্ছে না। তিনি ঢাকায় চাকুরি করেন এবং গ্রামের অসহায় মানুষের বিভিন্ন সালিশ বিচারে অংশগ্রহণ করে থাকেন। সমাজের সুশীল সমাজের নাগরিকগণ তা অবগত রয়েছেন।
মর্ত্তুজ আলী বলেন- সামাজিক সালিশ বিচার করা তার জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। তার গ্রামের আবু ছায়েদ ওরফে ছাদু মিয়া ও জাহানারা খাতুনের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অন্যান্যদের সঙ্গে ও বর্তমানে একই সাকিনের জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে বিরোধ চলছে। বিরামচর মৌজার বিরোধীয় জায়গার এস,এ জে,এল নং- ১৫৫, আর, এস- ১৫১, খতিয়ান নং এস,এ- ২৮, আর, এস খতিয়ান নং- ২৪৮, ১৬৯, ৭২, ৭৬, এস,এ দাগ নং- ৪১৩, আর,এস দাগ নং- ৩১৪ মোট মোয়াজি ২১ শতক। উক্ত ভূমি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েকবার সালিশ বিচার হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। পরে মোঃ আবু ছায়েদ ওরফে ছাদু মিয়া ও জাহানারা খাতুন বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত হবিগঞ্জে স্বত্ত্ব মোকদ্দমা নং- ২০১/২০২৩ দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রায় এক মাস পূর্বে এ ঘটনায় এক সালিশ বৈঠক হয়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ মর্ত্তুজ আলী ওই সালিশে উপস্থিত ছিলেন। সালিশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল। সালিশে মোঃ মর্ত্তুজ আলী বিশেষ ভূমিকা রাখায় জয়নাল আবেদীন সালিশ না মেনে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মোঃ আবু ছায়েদ ওরফে ছাদু মিয়ার দায়েরকৃত স্বত্ত্ব মামলায় মোঃ মর্ত্তুজ আলী ১৬নং বিবাদী এবং তার অপর ৩ ভাই ১৫, ১৭ ও ১৮নং বিবাদী। তাই তিনি ও তার ভাইয়েরা বাদী আবু ছায়েদ গংকে সমর্থন কিংবা তাদের পক্ষে যেয়ে জয়নাল আবেদীন গংদের প্রতিহত করার প্রশ্নই আসে না। সম্পূর্ণ মিথ্যা উক্তিতে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে গত ২৯ আগস্ট জয়নাল আবেদীন সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বুঝিয়ে বিজি টিভি গ্রাম বাংলা অনলাইন চ্যানেলে মর্ত্তুজ আলী ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। এতে সামাজিকভাবে তার মারাত্বক সম্মান হানি হয়েছে। এছাড়া জয়নাল আবেদীন অহেতুক মর্ত্তুজ আলী ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দরখাস্ত মামলা নং- ৫৭৯/২৩ এবং ১০৭/১১৪/১১৭ (সি) মামলায় আবু ছায়েদের সাথে তাদেরকে বিবাদী করে। উপরোল্লিখিত ভূমি নিয়ে আবু ছায়েদ বাদী হয়ে স্বত্ত্ব ২০১/২০২৩ মামলা যাতে স্বত্ত্ব ঘোষণাসহ নালিশা ভূমি বাটোয়ারা করে পাওয়ার দাবিতে এবং নালিশা ভূমিতে অহেতুক জয়নাল আবেদীন ও তার লোকজন জোরে অন্যায়ভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জয়নাল আবেদীন, মোঃ আব্দুল মন্নাফদের বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনে ১৪৪ ধারা এবং ১০৭ ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে বিরোধীয় ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে এবং মামলাগুলো আদালতে বিচারাধিন আছে।
মোঃ মর্ত্তুজ আলী দাবি করেন- উপরোল্লিত দাগ খতিয়ানের ২১ শতক ভূমি দীর্ঘদিন ধরে বাটোয়ারার জন্য অপেক্ষমান আছে। উক্ত দাগ খতিয়ানের ভূমিতে আবু ছায়েদ ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এতে তিনি গাছপালা লাগিয়ে ফল ফলাদি ভোগ ব্যবহার করে আসছেন। জয়নাল আবেদীন এলাকার সালিশ বিচার না মানায় এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে অবস্থান নেয়ায় মর্ত্তুজ আলী ও তার ভাইয়েরা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তিনি আইনের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।