স্টাফ রিপোর্টার ॥ এসএমই কৃষক গ্রুপের প্রশিক্ষণ ভাতা পেতে লাখাই উপজেলা কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদের বিরুদ্ধে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন লাখাইর এক ভূক্তভোগী কৃষক। লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের ভুমাপুর গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল মতিন উল্লেখ করেন- গত শ্রাবণ মাসে আজহার মাহমুদ লাখাইর কৃষি অফিসার পরিচয় দিয়ে গ্রামে ১৫ জনের একটি ‘ভুমাপুর কৃষক গ্রুপ’ গঠন করে দেন। এ গ্রুপের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভাল বীজ উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং প্রশিক্ষণ ভাতাও দেয়া হবে। ৫ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠান করা হবে। সে অনুযায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার তাদের প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণের সময় তাদের সকল ভাতা এক সাথে দেয়া হবে বলে একটি কাগজে উপ-কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে দস্তখত নেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন প্রকার ভাতা তারা পাননি। ভাতার জন্য কৃষক গ্রুপের অন্যান্য কৃষকগণ আব্দুল মতিনকে বার বার তাগাদা দেয়। তিনিও কৃষি অফিসে কয়েকবার যোগাযোগ করেন। প্রতিবারই তাকে বলা হয় পরে আসেন বিল হয়নি। বার বার বিতাড়িত হওয়ার পর গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় ভাতার জন্য তিনি কৃষি অফিসে যান। অফিসে গিয়ে দেখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদ অফিসে আসেননি। পরে ফোন করলে তিনি বলেন বসেন আমি বাসায় আছি। প্রায় ২ ঘন্টা পর উপজেলা কৃষি অফিসার অফিসে এসে বলেন, আপনি বার বার টাকা চান কেন? আমিতো বলছি পরে টাকা দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তিনি কৃষক আব্দুল মতিনের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এসময় আব্দুল মতিন তাকে অন্য কৃষকরা টাকার জন্য অশান্তি দিচ্ছে বললে কৃষি অফিসার বেশি কথা বললে ভাতা পাবেন না বলে আব্দুল মতিনকে হুমকি দেন। এরপর আব্দুল মতিন অফিস থেকে বের হয়ে কৃষক গ্রুপের অন্যান্য কৃষকের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করলে তারা তাকে পরামর্শ দেন বুল্লা ইউনিয়নের উপ-কৃষি কর্মকর্তা ফারুক মিয়া তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করতে। পরে তিনি ফারুক মিয়া তালুকদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার কাছে উপজেলা কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদ কোন টাকা পয়সা দেননি। এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। পরে আব্দুল মতিন মাঠ দিবসের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মাঠ দিবস এবং প্রশিক্ষণের সকল টাকা পয়সা উপজেলা কৃষি অফিসার আজহার মাহমুদের কাছে জমা আছে। এমতাবস্থায় কৃষক আব্দুল মতিন ভাতাসহ সকল প্রকার পাওনা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে আবেদন জানান।