স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন বানিয়াচং মক্রমপুর ইউনিয়নের হিয়ালা গ্রামের কচুয়ারআব্দা মৌজার স্বর্গীয় জিতেন্দ্র দাস ও শ্রীমতি ফুল্লরা রাণী দাসের পুত্র জ্যোতিময় দাস। সংবাদপত্রে এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জ্যোতিময় দাস বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলা কৃষকলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জ্যোতিময় দাস দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দলীয় কর্মকান্ডসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তিনি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে বর্তমান চেয়ারম্যান আহাদ মিয়াকে নৌকা প্রতীক দিলে তিনি একনিষ্ঠভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। জ্যোতিময় দাসের এক ভাই মৌলভীবাজার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসম্পাদক। অপর ভাই সদর উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য। তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সদর উপজেলা কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।
জ্যোতিময় দাস বিগত ২০০২ সালের প্রথম দিকে জামায়াত বিএনপির তান্ডবে এলাকা ছেড়ে মৌলভীবাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। অদ্যাবধি পর্যন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন। তবে জ্যোতিময় দাস তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে সবসময় যোগাযোগসহ আসা-যাওয়া অব্যাহত রেখেছেন। এই বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জ্যোতিময় দাস জানান, জন্মসুত্রে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এবং আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় জামায়াত বিএনপির দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আমি জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকান্ড করেছি। আমি কোনো দুর্নীতির সাথে জড়িত নই। আমি টেন্ডারবাজি কিংবা চাঁদাবাজি এমনকি ভূমি দখলের সাথে জড়িত নই। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করি নাই। আমাকে ১১নং মক্রমপুর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ অত্যন্ত মায়া ও আদর করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতারা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন নির্বাচন করার জন্য। পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমাকে উক্ত ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করতে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, সফল প্রধানমন্ত্রী ও কৃষকরতœ শেখ হাসিনা এমপি যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য, জ্যোতিময় দাসের পিতা ডা: জিতেন্দ্র দাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণকে বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। তার মাতা ফুল্লরা রাণী দাস উনার নিজের বাড়িতে একটি ঘর থাকা সত্ত্বেও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের থাকার জন্য অন্য একটি ছনের ঘর তৈরী করে দিয়েছিলেন। তার মাতা স্বর্গীয় ফুল্লরা রানী দাস হিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন দাতা কমিটির সদস্য।