স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরে গ্রাহকের আশি লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাধবপুর থানার এসআই ফজলে রাব্বী হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আছমা বেগম ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সৈয়দ মাহমুদুল হকের রিমান্ড শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আল আমিন।
প্রসঙ্গত, মাধবপুরে এক গ্রাহকের আশি লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হককে গত বুধবার রাতে মাধবপুর থানার এস.আই ফজলে রাব্বী ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। এর আগে এবি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন বাদী হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক, শাখা অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমান, মাধবপুর বাজারের মুন্সি টাওয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আব্দুল হাসিমকে আসামী করে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়- ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর মোঃ আদিল হোসেন মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর আওতায় গরফং নং ৩৫১৭৯৮৭ এবং গরফং নং ৩৫১৭৯৮৮ এর মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা ওই স্কীমে জমা দেন। কিন্তু তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ওই ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখে দেন এবং প্রতি মাসে সুদের টাকা ব্যবস্থাপক নিজের পকেট থেকে গ্রাহককে দিতে থাকেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর আদিল হোসেন ও তার ছেলে রেনু মিয়া মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম ভাঙ্গানোর জন্য ব্যাংকে আসেন। কিন্তু দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কীম এর কোন অস্থিত্বই ব্যাংকে খুঁজে পাননি। কিন্তু ডিপোজিট স্কীম কাগজপত্র দেখে বুঝা যায় আসল। সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খাঁন জিজ্ঞেস করলে অপারেশন ব্যবস্থাপক মুহিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তৎকালিন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক তা স্বীকার করে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন।
মামলায় বাদী আরও উল্লেখ করেন, এবি ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে গঠিত ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেন যে ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা দেন। ব্যবস্থাপক ৩০ আগস্ট ওই গ্রাহকের একাউন্ট থেকে বিনা চেকে মুন্সি টাওয়ারের মালিক আব্দুল হাসিমের মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামে একই ব্যাংকের একাউন্টে ৮৫ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদিল হোসেন এর একাউন্টে কোন লেনদেন হয়নি।