স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিএনএ টেস্টে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণে শায়েস্তাগঞ্জের শাহ মোঃ মাহবুবুর রহমান রনিসহ আসামিদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দুই মাস পর আসামিদের ডিএনএ প্রতিবেদন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এসে পৌঁছেছে। ডিএনএ প্রতিবেদনে আসামিদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তবে আট আসামির ডিএনএ নমুনার মধ্যে পরীক্ষায় কতজনের নমুনায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ‘ডিএনএ প্রতিবেদন শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্যরে হাতে এসে পৌঁছেছে। এখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর দুদিনে এ মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকার ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তী সময়ে এ প্রতিবেদন রোববার তদন্ত কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছে।’
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ভেতরে একটি রাস্তায় প্রাইভেটকারের মধ্যেই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আরো দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন সাইফুর রহমান (২৮), শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), অর্জুন লস্কর (২৫), রবিউল ইসলাম (২৫) ও মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছেন মো. রাজন ও আইন উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি শায়েস্তাগঞ্জের পূর্ব বাগুনিপাড়ার বাসিন্দা।