নাগরিকদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে কাজ করব
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্যকে পরিকল্পিত উপায়ে সম্পদে পরিণত করব
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ শায়েস্তাগঞ্জের উদীয়মান তরুণ সমাজকর্মী ইমদাদুল ইসলাম শীতল। তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। পিতার আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণতা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমদাদুল ইসলাম শীতল ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তার পিতা নজরুল ইসলাম হিরা ছিলেন একজন প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তিনি ছিলেন পশ্চিম লেঞ্জাপাড়া, দাউদনগর, চরনুর আহমদ, সুদিয়াখলা ও পূর্ব বাগুনীপাড়া নিয়ে গঠিত পাঁচগ্রাম ঐক্যপরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সুশাসন, সেবা ও শিক্ষা এই তিনের সমন্বয়ে শায়েস্তাগঞ্জকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করতে চান ইমদাদুল ইসলাম শীতল। তিনি বলেন- একজন মানুষের সদিচ্ছা থাকলে সে সমাজের তথা দেশের জন্য কিছু একটা করতে পারে। তবে তার যদি একটি প্লাটফর্ম থাকে তাহলে সে স্থান থেকে কাজ করতে সুবিধা হয় বেশি। তার লক্ষ তিনি পৌরবাসীর রায়ে মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে গুরুত্ব অনুযায়ী তা ৩ ভাগে বিভক্ত করে পরিকল্পিতভাবে তা সমাধানের চেষ্টা করবেন। শায়েস্তাগঞ্জের যুব সমাজ খেলাধুলায় খুবই আগ্রহী। কিন্তু প্রশিক্ষণের সুযোগ না থাকায় তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটছে না। তিনি যুব সমাজের প্রতিভার বিকাশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শায়েস্তাগঞ্জ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে একটি সমৃদ্ধ অঞ্চল হলেও এখানে মানসম্পন্ন কোন অডিটোরিয়াম নেই। তাই এ ব্যাপারেও তিনি কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবেন যাতে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বিশেষ করে নাট্য চর্চা আরো বিকশিত হয়। তা যেন ছড়িয়ে পড়ে সারা বাংলায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু জানেন বর্তমানে পৌরসভার অভ্যন্তরে অবস্থিত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মসজিদ ও মন্দিরের বিদ্যুত বিল ও ইমামের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। তিনি এসব বিষয়েও কাজ করতে চান। পৌরসভায় বসবাসকারী উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নি¤œœবিত্ত সকল শ্রেণির নাগরিকদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করতে চান।
খোয়াই নদীর পাড়ে পরিকল্পিত আকারে নান্দনিক ইকোপার্ক গড়ে তুলতে চান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। দিন দিন তার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মানুষের বিনোদনের জায়গা হ্রাস পাচ্ছে। তাই তিনি অবসর সময়ে মনের ক্লান্তি দূর করতে পৌরবাসীর জন্য পরিকল্পিত বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করতে চান। পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারিরা বেতন ভাতার জন্য মানবেতর জীবন যাপন করেন। সেই সমস্যা দূরীকরণে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বেতন ভাতার স্থায়ী খাত সৃষ্টি করতে চান তরুণ সমাজকর্মী শীতল।
তিনি বলেন- বর্তমান সময়ে পৌরসভার বর্জ্য একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ পৌরসভাই এ সমস্যায় ভূক্তভোগি। তাই তিনি যশোর পৌরসভার আদলে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বর্জ্যকে পরিকল্পিত উপায়ে সম্পদে পরিণত করতে চান। এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুত, জ¦ালানী, জৈব সারসহ অন্যান্য ব্যবহার উপযোগী মূল্যবান সম্পদে রূপান্তর করতে চান। সর্বোপরি তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করতে চান।
মেয়র প্রার্থী ইমদাদুল ইসলাম শীতল বলেন- এতদিন পরও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন নেই। এক্ষেত্রে তিনি বিগত সময়ে দায়িত্ব পালনকারীদের সদিচ্ছাকে দায়ী করেন। তাছাড়া পৌরসভায় আশানুরূপ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। এখনো পৌর এলাকার অনেক স্থানে ড্রেন নেই। পাকা রাস্তা নেই। নেই সড়কবাতি। অন্ধকারে পথ চলতে হয়। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তিনি পরিকল্পিতভাবে পৌরবাসীর এসব সমস্যা সমাধান করতে চান। এজন্য তিনি দল, মত নির্বিশেষে পৌরবাসী সকলের সুচিন্তিত মতামত ও রায় সর্বোপরি সহযোগিতা কামনা করেন।
তরুণ সমাজকর্মী ইমদাদুল ইসলাম শীতল ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত। তার মা জুলেখা বেগম একজন গৃহিণী। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা গঠনের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ইমদাদুল ইসলাম শীতল একজন সমাজকর্মী। তার কাছে যারাই আসে তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেন সহযোগিতা করার। তিনি নিজে সহযোগিতা করতে না পারলে অন্য কারো সহযোগিতা নিয়ে হলেও সহযোগিতার চেষ্টা করেন। তিনি ইতোপূর্বে কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এবারই প্রথম তিনি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এবার তিনি চেষ্টা করবেন দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে। তিনি বিশ^াস করেন দল তাকে মূল্যায়ন করবে। যদি দল তাকে মনোনয়ন না দেয় এবং দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় তিনিও দলের বৃহৎ স্বার্থে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।