বিয়ের আগে প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় কারাভোগ করেন পুলিশ কনস্টেবল নবীর হোসেন ॥ আপোসে বিয়ে করে এবার যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করছেন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করায় পুলিশ সদস্য নবীর হোসেন (২৫) এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১২ নভেম্বর হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাশ মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর কন্যা শোভা আক্তারকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল বাহুবল উপজেলার কাজিহাটা গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র পুলিশ সদস্য নবীর হোসেন। শত নির্যাতন সহ্য করেও স্বামীর সংসার করে যায় শোভা। ৬ নভেম্বর তার নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন নবীর হোসেন। এতে শোভা অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করে নবীর হোসেন এবং তাকে কোনোদিন ঘরে নিবে না বলে হুমকি দেয়। এতে নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা করে শোভা।
প্রসঙ্গত, শোভা শহরের একটি প্রাইভেট হসপিটালে রিসিপসনিস্টের কাজ করতো। এক পর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল নবীর হোসেনের সাথে তার পরিচয়। তিনি প্রেমের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে তাকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে না করায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নবীর হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে শোভা। বিচারক মামলাটি রুজু করতে সদর থানাকে নির্দেশ দেন। তৎকালীন সদর থানার ওসি মোঃ ইয়াসিনুল হক মামলা রুজু করেন। পরে এসআই আব্দুল মুকিত চৌধুরী তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। এরপর আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। নবীর হোসেন আদালতে হাজির হন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এরপর নবীর হোসেন পুলিশের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। দীর্ঘদিন হাজতবাস করার পর শোভাকে বিয়ে করবেন মর্মে বিষয়টি আপোষ হয়। এরপর শোভাকে চাপে পড়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই সে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেন।
বাদীপক্ষে মামলা করেন আইনজীবী মোঃ সফিক মিয়া। নবীর হোসেন সিএমপিতে কর্মরত আছেন।