মোহাম্মদ শাহ আলম ॥ বাহুবলে নিখোঁজ হওয়া যুবক অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হলেও অবশেষে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছে তাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে আবার কেউ বলছেন সে আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলার কামারগাঁওয়ের ফিরোজ মিয়ার পুত্র রাজু মিয়া (২০) নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ওইদিনই ফিরোজ মিয়া বাহুবল থানায় জিডি করেন। শুক্রবার সকালে ভাদেশ্বর হাওর থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার বিকালে সুস্থ হলে পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার বিকালে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত রাজুর বাবা ফিরোজ খা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি দোকানে যায় কিছু জিনিস ক্রয় করার জন্য কিন্তু রাত অতিবাহিত হলেও সে বাড়িতে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজে পাইনি। শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় ভাদেশ্বর হাওরে রাজু অচেতন অবস্থায় পরে রয়েছে। পরে তাকে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করে বিকেলে তাকে সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে যাই। শনিবার বিকালে তার শরীরের অবনতি হলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ রাজুর দেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।