পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে পৌরকর পরিশোধ করুন ॥ এমপি আবু জাহির
পৌরবাসীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা বেগবান হবে ॥ মেয়র মিজান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘পৌরকর নিয়মিত পরিশোধ করলেই হবিগঞ্জ পৌরসভা তার সেবা সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারবে। তাই আমাদের উচিত দলমত নির্বিশেষে নিজেরা পৌরকর পরিশাধ করা ও পৌরকর পরিশোধে সবাইকে সচেতন করা।’ হবিগঞ্জ পৌরসভার ৩ দিনব্যাপী পানির বিল ও পৌরকর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। তিনি বলেন হবিগঞ্জ শহর আপনার, আমার, আমাদের সকলের। মানুষ নাগরিক সুবিধা পাওয়ার জন্যই শহরে বসবাস করে। এই শহরের উন্নয়নে যে কর্তৃপক্ষ কাজ করে তা হলো হবিগঞ্জ পৌরসভা। আমরা যদি নিয়মিতভাবে পৌরকর পরিশোধ করি তাহলেই হবিগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারবে। আজকে এই করমেলায় আমি বলবো আমরা আমাদের স্বার্থে ও হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে নিজ দায়িত্বে আমরা কর পরিশোধ করবো। এটাই হবে আজকের দিনে আমাদের অঙ্গিকার।’ আবু জাহির এমপি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবিগঞ্জে স্টেডিয়াম নির্মাণ, বৃন্দাবন সরকারী কলেজে অনার্স কোর্স চালু, মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রতি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নসহ নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হাসলে হাসে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার হাতে থাকলে বাংলাদেশ পথ হারাবে না।’
সভাপতির বক্তব্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান বলেন ‘আমি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর হতেই জলাবদ্ধতা নিরসন, পরিচ্ছন্ন শহর এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে আবু জাহির এমপি’র সহযোগিতায় ব্যাপকভাবে কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। পৌরবাসীর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতেও হবিগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন ও নাগরিকসেবা বেগবান করতে ব্যাপকভাবে কর্মসূচী পরিচালনা করা হবে।’ মেয়র ৩ দিনব্যাপী পৌরকর মেলায় নিজ নিজ পানির বিল ও পৌরকর পরিশোধ করার জন্য পৌরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় হবিগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ে ৩ দিন ব্যাপী মেলার উদ্বোধন হয়। এ মেলায় নির্ধারিত ব্যাংক বুথের মাধ্যমে বুধবার পর্যন্ত পৌর কর ও পানির বিল আদায় করা হবে। করদাতাদের এ মেলায় রিবেটের সুযোগ ও সনদ দেয়া হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌরসভার কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায়। আরো উপস্থিত ছিলেন পৌরকাউন্সিলর মোঃ জাহির উদ্দিন, দীলিপ দাস, মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, শেখ নূর হোসেন, মোঃ আব্দুল আউয়াল মজনু, মোঃ আলমগীর, শেখ মোঃ উম্মেদ আলী শামীম, খালেদা জুয়েল, পিয়ারা বেগম, পৌরসচিব মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম। তিনদিনব্যাপী করমেলার প্রথম দিন পৌরকর আদায় হয়েছে ১৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং পানির বিল আদায় হয়েছে ৭১ হাজার ৭১৭ টাকা।