ফুফাত ভাইসহ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা করে ফেঁসে গেছেন বাহুবলের এক ব্যক্তি ॥ কথিত অপহৃতা মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পিবিআই
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিজের কন্যা সন্তানকে লুকিয়ে রেখে ফুফাত ভাইসহ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা করে ফেঁসে গেছেন বাহুবলের এক ব্যক্তি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কথিত অপহৃতাকে উদ্ধার করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর শরীফ মোঃ রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান- চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বাহুবল উপজেলার আব্দাপটিয়া প্রকাশ চারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রমিজ আলী তার মেয়ে আরিফা আক্তারকে (১৪) অপহরণ করা হয়েছে মর্মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় বাহুবল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৪/২০২০। মামলায় তিনি ৩ ফুফাত ভাইসহ ৫ জনকে আসামী করেন। এরপর হতে ভিকটিমকে উদ্ধারে মাঠে নামে পিবিআই। দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিবিআই অপহৃতার অবস্থান সনাক্ত করে। তারা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারেন কথিত অপহৃত মেয়েটি ঢাকায় অবস্থান করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৬টায় পিবিআই ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রমিজ আলীর বোনের বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। গতকালই তাকে ঢাকা থেকে এনে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হলে অপহৃতা আরিফা আদালতকে জানায়- তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তার পিতা পূর্ব বিরোধের জের ধরে ফুফাত ভাইদের হয়রানী করতে তাকে পিতার বোনের বাসা ঢাকার রায়ের বাজার নিয়ে লুকিয়ে রাখেন। দীর্ঘদিন ধরে সে সেখানে অবস্থান করছে। এমনকি ঈদের সময়ও তার পিতা রমিজ আলী তাকে বাড়িতে আনেননি বা কোন খোঁজ খবর নেননি। তাকে কেউ অপহরণ করেনি কিংবা জোরপূর্বক ধর্ষণও করেনি। ফুফাত ভাইদের সাথে তার পিতার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। তাদের ঘায়েল করতে সবই তার পিতার অপকৌশল। আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ শেষে আরিফা আক্তারকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়।