ইতালিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। ৭ই সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৩৩ মিনিটে জারি করা নতুন নোটিশে ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করেছে। অর্থাৎ সিদ্ধান্তে আচমকা পরিবর্তন না এলে বা শিথিল না হলে নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের কোন নাগরিক ইতালি ঢুকতে পারবেন না। স্মরণ করা যায়, বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে আর না বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল ঢাকা। কারণ করোনার সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পর বাংলাদেশি যাত্রীবহনকারী ফ্লাইটের ওপর দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে দেশে ছুটিতে বা জরুরি কাজে এসে আটকা পড়ে আছেন ইতালিতে বৈধভাবে কর্মরত কয়েক হাজার বাংলাদেশি। তারা নির্দোষ, কিন্তু ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়া সহকর্মী বা ধৃত শাহেদ-সাবরীনাদের মতো জালিয়াত চক্রের অপকর্মের দায় তাদের বহন করতে হচ্ছে। দেশে আটকেপড়া অনেকের চাকরি বা পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। অনেকে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন।
উপায়ান্তর না পেয়ে তারা সেগুনবাগিচা এবং ঢাকাস্থ ইতালি দূতাবাস ও ভিসা সেন্টারে প্রতিনিয়ত ধরণা দিয়ে যাচ্ছেন!
উলে-খ্য, ঢাকায় করোনার জাল সার্টিফিকেট বিক্রির হাট এবং জালিয়াত চক্র ধরা পডদার পর থেকে ইতালিতে বাংলাদেশিদের সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইটে প্রবেশ বারণ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আগস্টে রোম ও মিলানে নামা দু’টি ফ্লাইটের প্রায় সব বাংলাদেশিকে এয়ারপোর্ট থেকে পুশব্যাক করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতালির সরকারের জারি করা সর্বশেষ ৭ই সেপ্টেম্বরের নোটিশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের পূর্বের আদেশকে রেফার করা হয়েছে। জুলাই মাসের এক আদেশে প্রধানমন্ত্রী কন্তে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের নাগরিকের প্রবেশাধিকার স্থগিত করেছিলেন। অন্য রাষ্ট্রগুলো হলো- ওমান, উত্তর মেসিডোনিয়া, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া, চিলি, কুয়েত, মালডোভা, পানামা, পেরু, রিপাবলিক ডোমেনিকান, কসভো, মন্টেনেগ্রো ও সার্বিয়া।
করোনা ঠেকাতে ইতালিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা চলছে। যার মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। করোনা সনদ জালিয়াতিতে কেবল ইতালি নয়, বাংলাদেশিরা দুনিয়াজুড়ে সঙ্কটে। জাপান এবং কুয়েতে বাংলাদেশিরা ঢুকতে পারছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো ভ্রমণে (সেনজেন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে) বাংলাদেশিদের এখনও ‘না’ ক্যাটাগরিভুক্ত করে রাখা হয়েছে। ইইউ বা সেনজেন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫৪টি দেশকে ‘ভিসা দিতে বাধা নেই’ বলে তালিকা করেছে- যেখানে বাংলাদেশের নাম নেই।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com