শায়েস্তাগঞ্জের ইতিহাস ঐতিহ্য ১

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ ইতিহাসের আলোকে জানা যায় সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দীন (র:) এর অধস্তন নবম বংশধর লস্করপুর হাবেলী নিবাসী সৈয়দ হামিদ রাজার পুত্র ছিলেন সৈয়দ শায়েস্তা মিয়া। আশপাশের লোকজনের প্রয়োজনের কথা ভেবে আজ হতে প্রায় ৩শ’ বছর পূর্বে খোয়াই নদীর অববাহিকায় পশ্চিম তীরে একটি হাট বা বাজার স্থাপন করেন সৈয়দ শায়েস্তা মিয়া। প্রথমে এ বাজারটি শায়েস্তা মিয়ার বাজার নামে পরিচিতি পেলেও কালক্রমে বাজারে আসা লোকজন বাজার থেকে এটিকে গঞ্জে পরিণত করেন। বর্তমান শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজারই হচ্ছে মূল শায়েস্তা মিয়ার বাজার। তৎকালীন বৃটিশ সরকার আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন স্থাপন করা হয়। এর ফলে শায়েস্তাগঞ্জ বাজারটি সম্প্রসারিত হয়ে রেল স্টেশন সংলগ্ন দাউদনগরে (দাউদনগরের জমিদার সৈয়দা ধন বিবি ওয়াকফ্ স্টেটের অন্তর্ভূক্ত) আরেকটি বাজারের গোড়াপত্তন হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালে শায়েস্তাগঞ্জকে দেশের ৪৯২তম উপজেলা ঘোষণা করা হয়। ঐতিহাসিক সৈয়দ শায়েস্তা মিয়ার বাজার আজ শায়েস্তাগঞ্জ নামে পরিচিত। এটি দেশের একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার আয়তন ৩৯.৫৫ বর্গকিলোমিটার। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে ৪৯২তম উপজেলা হিসেবে শায়েস্তাগঞ্জকে অনুমোদন দেয়া হয়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শায়েস্তাগঞ্জ থানার আওতাধীন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর্ভূক্ত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- ৭নং নুরপুর, ৮নং শায়েস্তাগঞ্জ ও ১১নং ব্রাহ্মণডুরা।