হবিগঞ্জ শহরে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে মোবাইল কোর্টের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের এভারগ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্তাধিকারী ডাঃ শামসুদ্দোহা সোহাগকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির লাইসেন্স না থাকা, ল্যাব টেকনোলজিস্টের অনুপস্থিতি ও পর্যাপ্ত মেডিকেল ইকুইপমেন্টের ঘাটতি থাকার কারণে প্রতিশ্রুত সেবা যথাযথভাবে প্রদান করতে না পারায় তাকে এই সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা। মোবাইল কোর্ট সূত্র জানায়, ইতিপূর্বেও উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট করে সতর্ক করা হয়েছিল।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জের আনাচে কানাচে গড়ে উঠছে লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ গুলো নানা অব্যবস্থাপনা আর নি¤œমানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন নিয়ম-নীতি না মেনেই ইচ্ছামতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। অনেকেরই লাইসেন্স কিংবা পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। সরকার আগামি ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স করার কথা বললেও অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারি নিয়ম নীতি মানছে না। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় শহরের শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট সড়কের এভারগ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্তাধিকারী ডাঃ শামসুদ্দোহা সোহাগকে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এ সময় পাশ^বর্তী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে মালিকপক্ষ সটকে পড়েন।
সূত্র আরো জানায়, হবিগঞ্জ জেলায় ৯৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে লাইসেন্সসহ কোন ধরণের কাগজপত্র নেই ২৭টিরই। আর হবিগঞ্জ শহরে রয়েছে ৫১টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক। যারমধ্যে কোন ধরণের কাগজপত্রই নেই ৮টির। বাকিগুলোর মধ্যেও অনেকেরই লাইসেন্স থাকলেও অনলাইন নেই, নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে হবিগঞ্জে ২৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই।