স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আড়াইশ’ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে আবারো দালালদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনার কারণে কিছুদিন থেমে থাকলেও এখন আবার নতুন করে মাথাছাড়া দিয়ে উঠেছে দালালরা। অভিযোগ রয়েছে, দালালদের নিয়ন্ত্রণ করছে হাসপাতালের আশপাশে থাকা অসাধু ফার্মেসী মালিক ও হাসপাতালের কিছু কর্মচারী।
গত জানুয়ারি মাসে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপির নির্দেশে হাসপাতালের এক সভায় দালালদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের নিকট দেয়া হয়। পুলিশ কয়েকজন দালালকে ধরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করে। এরপর কিছুদিন থেমে থাকে তারা। করোনার সময়েও কিছুদিন বন্ধ থাকে দালালি। এখন আবার শুরু হয়েছে।
গ্রামগঞ্জ থেকে রোগীরা জরুরী বিভাগে আসলেই হাসপাতালে অবস্থানরত নিয়োজিত দালাল মালেক, টেনু ও কাওসারসহ দালালরা ডাক্তার নেই বলে নতুন বাস টার্মিনালসহ শায়েস্তানগর এলাকার বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে অযথা পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন অযুহাতে রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।
হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র চিকিৎসা সেবার স্থান হলো এই হাসপাতাল। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু জরুরি বিভাগে আসার সাথে সাথে দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। আবার কোনো কোনো ফার্মেসীর সাথে দালালদের চুক্তি থাকে রোগীকে ফার্মেসীতে নিয়ে গেলেই কমিশন পাওয়ার। তাদের খপ্পরে পড়ে এসব ফার্মেসীতে রোগীরা গেলে দ্বিগুন দামে ওষুধ বিক্রি করা হয়। জরুরি বিভাগের ডাক্তার এবং স্টাফদের সামনেই দালালরা চিকিৎসাপত্র নিয়ে টানাটানি শুরু করে। এরপরও কোনো প্রতিবাদ না করে দালালদের সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে আরএমও ডাক্তার শামীম আরা জানান, হাসপাতালে দালাল প্রবেশ নিষেধ। যদি কেউ প্রবেশ করে এরকম কাজ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রবেশমুখে সতর্কতাবাণী দিয়ে ব্যানার টানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, ইতোপূর্বেও অনেক দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলবে।