নবীগঞ্জে শাখা-বরাক নদীতে আবারও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হচ্ছে

উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ শহরের শাখা-বরাক নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অবশেষে আবারো শুরু হচ্ছে। পূর্বে মাপজোক করে দেয়া লাল দাগ নিয়ে জনমনে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি হলে উচ্ছেদ অভিযান কয়েকদিন বন্ধ থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সরেজমিন এসে নবীগঞ্জ নুরানী মার্কেট গণপাঠাগারসহ দখলকৃত সরকারি জায়গায় নির্মিত বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা এলাকা পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এ সময় তাঁর সাথে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, সহকারী কমিশনার ভূমি সুমাইয়া মুমিন। জনমনে সার্ভেয়ারের মাপজোক নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলে উচ্ছেদ অভিযান সাময়িক বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে মাজোকের সঠিকতা নিশ্চিত করে ডিজিটাল সার্ভে করার পর উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে সকল স্থাপনায় মাপজোক নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল সেই সকল স্থাপনায় পুনরায় ডিজিটাল সার্ভে করার পর ভূমি মালিকারা তা বুঝে সরকারি ভূমিতে ঢুকে পড়া তাদের স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেন। দখলকৃত খাল উচ্ছেদ করার পর নবীগঞ্জবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, সরকারি ভূমিতে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না, উচ্ছেদকালে অবৈধ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ারুর রহমান, আব্দুস সাহিদ মিয়া, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাভাপতি ফয়সল তালুকদারসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।