ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা

হবিগঞ্জে নবাগত ১২০ পুলিশ কনস্টেলকে ফুল দিয়ে বরণ

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম সেবা) বলেছেন ৭ মার্চ ঐতিহাসিক বক্তব্য রেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ বাংলাদেশের ইতিহাসে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত, ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাযজ্ঞের শিকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে হতবিহব্বল হলেও পুলিশের রাইফেল থেকেই গর্জে উঠে প্রতিরোধের প্রথম বুলেট, সূচিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। সেই ক্ষণ একদিকে যেমন বেদনার স্মৃতি অন্যদিকে তা বাংলাদেশ পুলিশের জন্য গৌরবময় এক ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেইদিন পুলিশ বাহিনী মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পুলিশ লাইনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন- আমাদের যার যার অবস্থা থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা যদি নিজেরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি, তাহলে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অনুসরণ করা হবে। আমাদের কাজেও সফলতা আসবে। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন- সাহায্য প্রার্থীদের সঠিকভাবে সহযোগিতা করবেন। কারো সাথে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণ মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। আমাদের কাছ থেকে সাহায্য প্রার্থীরা যেন কষ্ট না পান সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সহকারি পুলিশ সুপার তৃপ্তি মন্ডলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম ফজলুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহমেদ, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, সহকারি পুলিশ সুপার মানছুরা আক্তার, পুলিশ লাইন্স এর আরআই রেজাউল হক, হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ডিবির এসআই আবুল কালাম আজাদ, সার্জেন্ট আল-আমীন, কনস্টেবল রুহুল আমিন খন্দকার, কনস্টেবল জীবা আক্তার। সভা শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন কনস্টেবল হাফেজ মেরাজুল ইসলাম। শেষে নবাগত ১২০জন পুলিশ কনস্টেলকে ফুল দিয়ে বরণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।