বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় তিন শতাধিক লোককে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার এসআই কবির হোসেন বাদী হয়ে ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ ২ শত ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলায় ৫ সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার যশপাল গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (২৬), তিতারকোণা গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে শাহ আলম (২৭), সুতীন লাল টিলা গ্রামের ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজর আলী (৪০), ভৈরবীকোনা গ্রামের অনু মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া (২৬) ও কর্মবাদ গ্রামের খুর্শেদ আলমের ছেলে আশিক মিয়া (২৬)।
উল্লেখ্য, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাহুবল এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে জোড়ালোভাবে বাঁধা দিয়ে আসছিল হাইওয়ে থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিরপুর বাজারের বিশ্বরোড পয়েন্টে একটি সিএনজি অটোরিকশাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল হাইওয়ে পুলিশ। সিএনজি অটোরিকশা আটকের খবরটি মুহূর্তেই স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে জানাজানি হলে শ্রমিকরা জড়ো হয়ে পুলিশের কাছ থেকে সিএনজি অটোরিকশা ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য সহ অন্ততঃ ২০ জন আহত হন। এক পর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আহতদের চিকিৎসা দিতে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত হোসেন, এসআই মাসুক মিয়া, এএসআই হাবিবুর রহমান, কনস্টেবল মো: রিফাত, আমিনুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, নিশান কান্ত দেব। এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত ৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com