স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের অধস্তন আদালতের কর্মচারিদের বৈষম্য নিরসনসহ দুই দফা দাবীতে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীরা গতকাল সোমবার দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন। বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জিয়াউল হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম হাদী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সাল থেকে অধস্তন আদালতের কর্মচারীগণের বৈষম্য নিরসনসহ দুই দফা দাবী তথা-বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করা, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদানসহ বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি তৈরির দাবি জানানো হয়। এ জন্য গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়। এছাড়া সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি সকল জেলা থেকে জেলা জজদের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি এবং জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় দাবী বাস্তবায়নে আশ্বাস প্রদান করা হলেও অদ্যবধি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সাথে এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করে দাবী উপস্থাপন করেছেন। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এসোসিয়েশনের পেশকৃত দাবী যৌক্তিক হিসেবে সহমত পোষণ করলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রদানকৃত প্রতিবেদনের সুপারিশে অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসাবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতাদি প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। অধিকন্তু আদালতের কর্মচারীগণের পদোন্নতির সুযোগ যেখানে একবারেই সীমিত, সেখানে এই পদোন্নতির পথ রুদ্ধ করতে অধস্তন আদালতের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণকে পদায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় গতকাল কর্মবিরতি পালন করা হয়।