নিজস্ব প্রতিনিধি \ শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত কর্মী শেখ হৃদয়ের দায়েরকৃত মামলার ৫৮নং আসামী আব্দুল মান্নান নানু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নানু উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে ও নূরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার না করায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মাঝে। তারা শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের এমন ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নানুকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সক্রিয় নেতা বলেন- ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নানুর বিরাট দাপট ছিল। ৫ আগস্টের পর তিনি কিছুটা নীরব ছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
মামলার বাদী আহত শেখ হৃদয় ওরফে আতাউর রহমান হৃদয় জানান- ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় তার চোখে ও মুখে পাথরের ঢিল পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে মৌলভীবাজারে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু এতে তিনি সুস্থ হননি। অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
ওই হামলার ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে ১৭ সেপ্টেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে আহত শেখ হৃদয় ওরফে আতাউর রহমান হৃদয়। মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুইশ জনকে আসামী করা হয়। এরমধ্যে নানু মিয়া ৫৮নং আসামী।