এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জের সদরঘাট এলাকায় সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল মুহিত (৫৩) নামে এক সিএনজি চালককে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। সোমবার ভোরে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের কাছে সমঝিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কায়স্থ গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আব্দুল মুহিতকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে। জীবন বাচাঁতে আব্দুল মুহিত দৌড়ে পাশের গ্রামের সদরঘাট দক্ষিণ পাড়ার ইকবাল হোসেনের বাড়ীর নতুন নির্মিত সেফটি ট্যাংকিতে পড়ে যান। এ সময় বিকট শব্দে ইকবাল হোসেনসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে ট্যাংকের ভেতর দেখতে পেয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এসময় আব্দুল মুহিত প্রশাসনের সাহায্য ব্যতিত ট্যাংকি থেকে উঠবেন না বলে জানান। পরে স্থানীয়রা তার পরিবারের লোকজনকে এবং ৯৯৯ নম্বারে কল দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে নবীগঞ্জের দমকল বাহিনী রবিবার ভোর ৬ টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ট্যাংকির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুহিতকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনের কাছে সমঝিয়ে দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেফ্টি ট্যাংক এর মালিক ইকবাল হোসেন বলেন- প্রায় দু’বছর আগে বাড়ির ওই সেফ্টি ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছিল। পারিবারিক বিরোধের কারণে উপরের স্লাব লাগানো হয়নি। কিছু বাঁশ, ঢাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে আব্দুল মুহিত কিভাবে ওই ট্যাংকিতে পড়লো আমাদের জানা নেই। তবে বিকট শব্দে ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজনসহ তার পরিবারের লোকজন এবং ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করি। পরে নবীগঞ্জ থেকে দমকল বাহিনীর একদল সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৬ ফুট গভীরে ট্যাংকির ভিতর থেকে মুহিতকে উদ্ধার করেন।
নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন- খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেই।
ওসি কামাল হোসেন বলেন- ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।