স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামে যুবলীগ নেতা আলমগীর ও তার লোকজন এবং গ্রামবাসীর বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। একাধিক সংঘর্ষ, হামলা ও বাড়িঘর জ¦ালিয়ে দেয়াসহ নানা ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। গুরুতর আহত হয়ে অঙ্গহানীর আশঙ্কা ও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন গ্রামের লুৎফুর রহমান ও হাদি মিয়া। আহত আরো অনেকেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে কালাভরপুর জামে মসজিদ নিয়ে যুবলীগ নেতা আলমগীর ও তার লোকজনের সাথে এলাকাবাসীর বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে গ্রাম পাঞ্চায়েত এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে বিচার সালিশ হলেও বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। পরে এ নিয়ে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হলে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে লুৎফুর রহমান সারংবাজার থেকে কালাভরপুর গ্রামে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র¿ নিয়ে লুৎফুর রহমানের উপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া গত ২০ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা আলগীর খাঁনের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগী ইউনিয়ন আওয়ামীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বদরুল আলমের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও দুলাল মিয়ার বসতঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। এতে ঘরে থাকা ১শ’ মন ধান ও মূল্যমান জিনিসপত্র সহ প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদিকে গত ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে হাদি মিয়ার সাথে আলী আমজাদ খানের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে আলমগীর খানগং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হাদি মিয়ার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। পরে এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ব্যাপারে কালাভরপুর গ্রামের একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উভয়পক্ষের বিরোধ নিস্পত্তির জন্য দুই ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভার সাবেক মেয়রকে নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক আহ্বান করা হয়। কিন্তু যুবলীগ নেতা আলমগীর খান গং প্রথমে এতে সম্মতি দিলেও পরে তারা সালিশ অমান্য করে সংঘাতে জড়ায়।