স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বারলারিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন ২টি সেচ স্কিম অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে ৫টি সেচ পাম্প পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। গত ৮ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন সাইদুল ইসলাম নামে এক কৃষক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জালাল উদ্দিন উপজেলার লাদিয়া মৌজার জেএলনং-১৪২ এর ১২১৭ ও ১১৬০ দাগে সেচ স্কিমের অনুমোদন নিয়ে কাজিরগাও মৌজায় পানি সরবরাহ করছেন। এতে করে পাশ্ববর্তী বৈধ সেচ স্কিমের কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এছাড়াও জালাল উদ্দিন পল্লী বিদ্যুতের অনুমোদন ছাড়া বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত ঝুলন্ত লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করছেন। ফলে গত বছর ঝুলন্ত বিদ্যুত লাইনে পৃষ্ট হয়ে একটি গরু, একজন কৃষক আহত হন। এবছরও তিনি একইভাবে বিদ্যুতের ঝুলন্ত লাইন ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান- জালাল উদ্দিনের অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন করে দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরী।
শুধু তাই নয়, গত ২৩ ডিসেম্বের জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের কাছে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ায় অভিযোগ দায়ের করেছেন একই গ্রামের ছোরাব আলী।
অভিযোগে আরো বলা হয়, জালাল উদ্দিন সরকারি গভীর নলকূপকে মা-বাবার দোয়া সেচ স্কীম দেখিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে লাদিয়া মৌজায় ব্যবহার করছেন। তিনি আবার লাদিয়া মৌজার বারলারিয়া গ্রামের উত্তরে খুটির গোড়ায় ১১০ ফুট বোরিং করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গাউছে পাক সেচ স্কীম নামে সরকারি অনুমোদন নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নেন। বাস্তবে ৮০০ ফুট দূরে ঝুলন্ত লাইন দিয়ে সেচ পাম্প পরিচালনা করছেন। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছর শ্রীরামপুর গ্রামে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিদ্যুৎপৃষ্টে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাস বলেন, কৃষকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com