আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তের ওপারে ত্রিপুরার খোয়াই মহকুমার গৌড়নগর এলাকায় উদ্ধার বাংলাদেশী জহুর আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া তিনি লাঞ্চে ইনফেক্শন এবং নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তার শরীরে সামান্য আঘাত পাওয়া গেছে। খোয়াই হাসপাতালের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তারা ফেরত লাশের সাথে দিয়েছে। তবে ফাইনাল রিপোর্ট আসলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে জহুর আলী যদি হৃদরোগেই মারা গিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি কিভাবে তার বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভারতের অভ্যন্তরে গেলেন এবং তার সাথে ১১ হাজার টাকা ও ১০টি নতুন লুঙ্গি কোথায় এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এছাড়া তার বাড়ির ৩শ গজের মধ্যে একটি ধানি জমি থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল, মাফলার এবং দুজোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়েছে তা নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। চুনারুঘাট থানা পুলিশ এ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন ওসি শফিকুর রহমান। এলাকাবাসী বলছেন, জহুর আলী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তিনি কেন কিভাবে ভারতে গেলেন তা তদন্ত হওয়া দরকার। কারা কারা সেদিন তার সাথে ছিল তাদের খুজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মৃত্যু রহস্য বের হতে পারে। এলাকাবাসী দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জহুর আলীর লাশ বাল্লা সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে নিহতের ছেলে অলি হাসানের কাছে ত্রিপুরার খোয়াই থানা পুলিশ ও বিএসএফ লাশ হস্তান্তর করে। বাড়িতে লাশ পৌছলে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। রাত ৮টায় তার নিজ বাড়ির পাশে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন জানাজায় অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ঢুলনা গ্রামের মুনছুব আলীর ছেলে জহুর আলী (৫৫) শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রবিবার দুপুরে খবর আসে ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই মহকুমার গৌড়নগর এলাকায় জহুর আলী লাশ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় ময়নাতদন্ত শেষে বিএসএফ ও পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে।