স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি নেয়া সাংবাদিক সাইফুল জাহান চৌধুরী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার পরিবার ও সাংবাদিকবৃন্দ।
নবীগঞ্জের সাংবাদিকবৃন্দ ও সাইফুল জাহান চৌধুরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিলুপ্ত সংসদের এমপি অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নওয়াজ গাজী মিলাদের সাথে বিরোধের জের হিসেবে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল কর্মকান্ড থেকে অব্যাহতি নেন সাইফুল জাহান চৌধুরী। এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দলীয় পদত্যাগ ও মামলা সূত্রে প্রকাশ, ২৮ নভেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগ আহবায়ক নাজিমুদ্দৌলা চৌধুরীর পিতা কর্তৃক দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী। শুনানি শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ১৩ আসামীর মধ্যে সাইফুলসহ ৬জনের জামিন নামঞ্জুর করেন। ২৯ নভেম্বর শাশুড়ির মৃত্যুতে শ্যালক আলমগীরসহ প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাজায় অংশ নেন তিনি। ১ ডিসেম্বর আদালতে ৬ জনের জামিন মঞ্জুর হয়। এর মধ্যে ৪ জনকে মুক্তি দেয়া হলেও শ্যালক আলমগীর চৌধুরী ও সাইফুল জাহান চৌধুরীকে হবিগঞ্জের মুস্তাক হত্যা মামলার সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে ৫ ডিসেম্বর বানিয়াচংয়ে ৯ মার্ডার মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটকের আবেদন করেন এসআই জাহাঙ্গীর আলম। মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে তাকে বদলী করা হয়েছে। ওই মামলায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসআই আমিনুল মামলাটি তদন্ত করছেন। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পরও থানা পুলিশকে সহায়তাসহ সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন সাইফুল জাহান চৌধুরী। পটপরিবর্তনের ক্রান্তিকালে ব্যাবসায়িদের পাশে থেকে সক্রিয় সহযোগিতা করেন নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল। এ নিয়ে নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন বিরোধের জের ধরে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি প্রতিপক্ষের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান। এদিকে, পুলিশ ও আইনজীবী তদন্তাধীন মামলার সর্বশেষ কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com