স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জের সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুল জলিল প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার এজাহারভূক্ত আসামী। প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি দলবল নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল জলিল তার প্রতিপক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যপুরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। শামসুদ্দিন আহমেদের মাথায় হাড়কাটা জখমের ফলে ১৪টি সেলাই দিতে হয়। তাছাড়া শামসুদ্দিন আহমেদসহ তার পরিবারের লোকজনের অনেকেই হাড়ভাঙ্গা জখমসহ গুরুতর জখম প্রাপ্ত হন। এ ব্যাপারে আজিজুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে দীর্ঘদিন পর মামলাটি এফআইআর করা হয়। এফআইআর করা হলেও আব্দুল জলিলকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী আজিজুল হক বিপ্লব জানান- আওয়ামীলীগের আমলে আব্দুল জলিল আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন। আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে তার একাধিক ঘনিষ্ট ছবি রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তিনি যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এবার তিনি যুবদলের পরিচয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। তার নাম শুনলে থানা পুলিশ মামলা নিতে চায় না, তাকে গ্রেফতারের কথা বললেও থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না। আব্দুল জলিল নারী নির্যাতন (মামলা নং ৬৭/২৩) মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী।