জুমার খুৎবায় সৈয়দ আজহার আহমাদ এবাদ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পুরাতন পৌরসভা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা সৈয়দ আজহার আহমাদ এবাদ বলেছেন- নিজ নিজ কর্মে ফাঁকি দেয়া যাবে না। কর্মে ফাঁকি দিয়ে সরকারী বেসরকারী যে কোনো চাকুরীজীবীর অর্থ উপার্জন হবে হারাম। হারাম ভক্ষন করে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হবে না। প্রত্যেককে প্রতিবেশীর হক পালন করতে হবে, প্রতিবেশীর সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। একবার রাসুল (সা.) এর নিকট কয়েকজন সাহাবী আগমন করে বললেন- অমুক মহিলা অনেক ইবাদত করেন, দান সাদকা করেন, কিন্তু সমস্যা হল ওই মহিলার আচরণ দ্বারা, কথাবার্তা দ্বারা প্রতিবেশীরা বেশি কষ্ট পায়। রাসুল (সা.) বললেন- ওই মহিলার ইবাদত কোনো কাজে আসবে না, ওই মহিলার জায়গা হবে জাহান্নামে। সাহাবীরা জানালেন- আরেক মহিলা আছেন- যিনি নিয়মিত ফরজ ইবাদতগুলো আদায় করেন, কিন্তু দান সদকা করেন না, তবে প্রতিবেশীদের সাথে তার ব্যবহার খুবই ভালো, প্রতিবেশীরা ওই মহিলার প্রতি অত্যন্ত খুশি, রাসুল (সা.) বললেন- প্রতিবেশীদের সাথে ভালো আচরণের কারণে ওই মহিলা জান্নাতে যাবেন। মাওলানা আজহার আহমাদ বলেন- আমরা অনেক সময় প্রতিবেশীদের ভালো দেখতে পারি না, মনের মধ্যে এক প্রকার জিদ হিংসা কাজ করে, হিংসা মানুষের নেক আমলকে ধ্বংস করে দেয়। মানুষ হিংসাত্মক কাজে লিপ্ত থাকায় বিভিন্ন সময় আজাব নাজিল হচ্ছে। তিনি বলেন- তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষ আরেক পক্ষের উপর হামলা করা, খুন করা এটাই প্রমাণ করে যে, আমরা ইসলামের সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারিনি। কাউকে সম্মান করা হারাম নয়, কোনো গণ্যমান্য ব্যক্তি এলে তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখানো হারাম নয়, তবে কারো সামনে মাথা নিচু করা হারাম, কোনো পীর সাহেবের সামনে মাথা নিচু করা, সেজদা করা কিংবা কবরস্থানে গিয়ে সেজদা করা হারাম, তবে কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে ওলি আওলিয়া, নিজের বাবা মা বা কবরবাসীদের উদ্দেশ্য করে সালাম জানানো সওয়াবের কাজ। আমরা ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তিনি সকলকে ইসলামের সুমহান বিধানগুলো পালনের আহবান জানান।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com