চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মীর ছায়েব আলী ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী সহ গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী এবং নিরীহ ব্যক্তিদের উপর দুই মামলাবাজ ভাইয়ের বিভিন্ন মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ১নং ওয়ার্ডবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাইলগাছ মধ্যগ্রামে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মুরুব্বী আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ইউপি সদস্য মীর ছায়েব আলী। চাকুরিজীবী শেখ কামালের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সদর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব খাইরুল আলম, ইউপি সদস্য শেফুল আক্তার, মানিক মিয়া মাস্টার, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া তালুকদার, বিশিষ্ট মুরুব্বী যত্রাক্রমে সুন্দর আলী, সিরাজ আলী, আব্দুল বারিক, নুর হোসেন মিয়া, মোঃ আব্দুুল হাই, সামছু মিয়া চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াদ খাঁন, চাকুরিজীবী শাহিন চৌধুরী, ইমাম আব্দুল শহিদ, ভোক্তভোগী মাওলানা আজিজুল হক, ভোক্তভোগী জাহাঙ্গীর মিয়া সহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মীর ছায়েব আলীসহ গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিদের উপর শাইলগাছ গ্রামের মাওলানা হুসাইন আহমদ চৌধুরী ও আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী তাদের দুই ভাইয়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যতায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গ্রামবাসী সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও গ্রামের মানুষের নামে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ মাধ্যমে নিউজ করার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা আরো বলেন- দুই ভাইয়ের কারণে আমাদের শান্তিপ্রিয় গ্রামের আইনশৃঙ্খলা নষ্ট ও গ্রামের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এলাকাবাসী জানান, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শাইলগাছ গ্রামের মাওলানা হুসাইন আহমদ চৌধুরী আলমগীর ও তার বড় ভাই আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর সাথে তাদের আপন চাচা মাওলানা আজিজুল হক চৌধুরীর সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলছে। উক্ত এলাকার একজন স্বজ্জন ও ন্যায়পরায়ণ জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের জমিজমার বিরোধ নিয়ে অনেকবার বিচার সালিশ করেন মেম্বার মীর ছায়েব আলী। উক্ত বিচার সালিশের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মুরুব্বী ছিলেন, চুনারুঘাটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানর আবু তাহের, মাওলানা ওলিপুরি ওজুর সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু আলমগীর ও কাইয়ুম গং বিচার সালিশ হলেও পরে তা মানেন না। মুরুব্বীরা এ বিষয় নিয়ে প্রায় ব্যর্থ। সম্প্রতি তাদের এক ভাই মুখলিছের বসতঘরে একটি বিদ্যুতের মিটার স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করে। বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন মিটার লাগাতে আসে। কিন্তু হুসাইন ও কাইয়ুম তার ভাই মুখলিছের ঘরে মিটার লাগাতে দেয়নি। এসময় মুখলিছ মেম্বারের কাছে বিচার নিয়ে যান। তিনি ও বাড়ির মুরুব্বী হিসেবে এটার জন্য তাদের দুই ভাইকে অনুরোধ করেন। এরই প্রেক্ষিতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার মীর ছায়েব আলীর উপর হবিগঞ্জ আদালতে একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করে। এছাড়াও সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে তাদের দুই মায়ের ঘরের দুই সৎ ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তারা।