স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারের তালিকা থেকে বিতর্কিতদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক। এই কাজে শিক্ষিত বেকারদের অর্ন্তভূক্ত করে তালিকা করা হয়েছে। রোববার বিতর্কিতদের নাম বাদ দেওয়ার তথ্য দেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বাদল মিয়া।
এরমধ্যে সুপারভাইজার থেকে বাদ পড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জনপ্রতিনিধি সৈয়দ এলআর মাসুক (মাসুক ভান্ডারী), ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোমেনা খাতুন, ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আজমান, নূরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সুহানুর রহমান, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা সন্তোষ পাল।
তথ্য সংগ্রহকারী থেকে বাদ পড়েছেন পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তরফদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আররাব আহমেদ নাহুল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক সাবাজ মিয়া, ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব হোসেন চৌধুরী দিলু, ছাত্রলীগ নেতা সুমন চন্দ্র দেব, ছাত্রলীগ নেতা বখতিয়ার আহমেদ।
সূত্র জানায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় অর্থনৈতিক শুমারির জন্য ৯ জন সুপারভাইজার, ২৯ জন তথ্যসংগ্রহকারী নিয়োগ করা হয়। এতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তালিকা থেকে বিতর্কিতদের নাম বাদ দেওয়া হয়।