সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়নের মোড়াকরি হাইস্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সালাহ উদ্দীন ও দাতা সদস্য বশির আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তে নেমেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে গত ৮ অক্টোবর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেন মোড়াকরি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মোঃ আব্দুল মোতালেব।
সূত্র জানায়, মোড়াকরি হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সুমন, দাতা সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বশির আহমেদ এর নাম উল্লেখ করে আবেদন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়- মোড়াকরি হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম এ কলেজে যোগদানের শুরুতে থেকেই নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করে আসছেন। অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম দীর্ঘ ৩২ বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার সুবাদে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক সভাপতির চাচাতো বোন, ভাই, স্ত্রী ও অধ্যক্ষের ছেলেকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়।
সিসিটিভি ক্রয়ের নামে নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ, পিবিজিএসআই প্রকল্পের বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ টাকা যথাযথভাবে কাজে না লাগিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। কলেজের মালিকানাধীন পুকুরের লীজের মাধ্যমে পাওয়া ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার অংক রেজুলেশনে না উঠিয়ে তা ফাঁকা রেখে কমিটির অপরাপর সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি বাবদ ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৩৪০ টাকার জমাকৃত টাকা যা জমা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সরেজমিনে উভয়পক্ষ ও সাক্ষীদের কাছ থেকে বক্তব্য নিতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সালাহ উদ্দীন সুমন বলেন আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যা আদৌ সত্য নয়। ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য বশির আহমেদ বলেন আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।