স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ওপর দিয়ে শিলাসহ বৃষ্টিপাত ও ধমকা হাওয়া বয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা শিলাবৃষ্টিতে অনেকের ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ধসে পড়েছে অসংখ্য কাঁচা বসতঘর। রাস্তাঘাটে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আকস্মিক ঝড়সহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। আধাঘণ্টা স্থায়ী ঝড়ে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রায়ধর গ্রামের আফসর মিয়া জানান, সন্ধ্যায় আকষ্মিক ঝড়ে ওই এলাকার অনেক ঘরবাড়িসহ গাছ ভেঙে পড়েছে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের তানিয়া আক্তার জানান, ঝড়ে তাদের এলাকার গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। হবিগঞ্জ শহরের ইজিবাইক চালক শাহজাহান জানান, শিলাবৃষ্টিতে অনেক ইজিবাইক এর গ্লাস ফেটে গেছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কাঁচাঘর ভেঙে পড়েছে। বিদুৎ না থাকায় সব এলাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় রোপা আমনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণ পাড়ায় প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা শিলাবৃষ্টিতে রাস্তা ও বাড়ির উঠানে স্তূপ জমে উঠে।
বানিয়াচংয়ের এক চিকিৎসক জানান, উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় টানা আধা ঘণ্টা ধরে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে কয়েকটি বাড়ির জানালার কাঁচ ফেটে গেছে।
শিলাবৃষ্টিতে রোপা আমনের তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানান কৃষক তৌফিক মিয়া। তিনি বলেন, এখনও ধানের চারায় শিষ জন্ম নেয়নি। তাই শিলাবৃষ্টিতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। তবে বাতাসে ধানের চারা নুয়ে পড়লে ক্ষতি হতে পারে।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, বোরো ধানের মৌসুমে সাধারণত শিলাবৃষ্টি হয়ে থাকে। এবার আমনের মৌসুমে অসময়ে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে রোপা আমনের তেমন ক্ষতি হবে না।