শায়েস্তানগর উমেদনগর মোহনপুরসহ অনেক এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত ছিল না
চৌধুরী বাজার নারকেল হাটায় অনেক বড় নৌকাঘাট ছিল। ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান হতে মালবাহী নৌকা পণ্য নিয়ে এ ঘাটে এসে ভিড়তো ॥ জে,কে এন্ড এইচ,কে হাই স্কুলকে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে মিসইউজ করেছে
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট পূণ্যব্রত চৌধুরী বিভূ হবিগঞ্জ শহর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আরো বলেন- তৎকালীন সময়ে শহরের শায়েস্তানগর, উমেদনগর, মোহনপুরসহ অনেক এলাকা পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরে এগুলো নানা প্রেক্ষাপটে শহরের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। তখনকার সময়ে শহরে কোন যানবাহন ছিল না। গুটি কয়েক প্যাডেল চালিত রিক্সা চলতো। শহরের অধিকাংশ মানুষই পায়ে হেঁটে চলাচল করতেন। তবে মাঝে মাঝে শহরের ৫০ সি.সি কয়েকটি হোন্ডা চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেককে আবার বাই সাইকেলে করে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে তখনকার সময়ে শহর ছিল যানজট মুক্ত। এখনকার সময়ের মতো এতো দীর্ঘ যানজট কখনো চোখে পড়েনি। তাছাড়া শহরের চৌধুরী বাজার নারকেল হাটায় অনেক বড় নৌকাঘাট ছিল। ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান হতে মালবাহী নৌকা পণ্য নিয়ে এ ঘাটে এসে ভিড়তো। শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ নানা স্থানের বড় বড় ব্যবসায়ীদের মালামাল এ ঘাটে নিয়ে আসতেন। পরে এ ঘাট থেকে তারা পণ্য নিজেদের এলাকায় নিতেন। তখনকার সময়ে শহরে ৩ থেকে ৪টি পণ্যবাহী ট্রাক ছিল। তবে এই গাড়িগুলোর গতি ছিল অনেক কম। গাড়িগুলোর গতি ছিল গড়ে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। ফলে তখনকার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতো না বললেই চলে। তৎকালীন সময়ে হবিগঞ্জে ট্রেনের ২টি স্টেশন ছিল। একটি হলো কোর্ট স্টেশন (বর্তমান চাষী বাজার) আর অপরটি হলো শহরের পুরান বাজার। ওই স্টেশনগুলো ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা মালগাড়িতে করে হবিগঞ্জে মালামাল নিয়ে আসতেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মালামালও মালগাড়িতে হবে এখানে নিয়ে আসতেন।
পাকিস্তান আমলে অত্যন্ত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ছিল হবিগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরি। এটি বর্তমান টাউন হলের পাশে ছিল। তখনকার সময়ে যে বড় কর্তাই হবিগঞ্জ সফরে আসতেন তিনি পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন করে যেতেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোন এক অদৃশ্য ইশারায় পাবলিক লাইব্রেরিটি এখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এর ফলে এটি তার অতীত সুনাম হারায়। তিনি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শহরের বসবাসকারী এখনকার ৮০ ভাগ লোকই জানে না পাবলিক লাইব্রেরিটি কোথায় ছিল। তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আসাম বেঙ্গলে ওয়ান অব দ্যা বেস্ট স্কুল ছিল হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। আর কমার্স বিভাগে অত্রাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ছিল বৃন্দাবন কলেজ। বিকেজিসি ও জেকে স্কুলও ছিল স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যোগেন্দ্র কিশোর এন্ড হরেন্দ্র কিশোর (জে,কে এন্ড এইচ,কে) হাই স্কুলকে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে মিস্ ইউজ করেছে।