স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালকে প্রধান আসামী করে ১১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মো. ইয়াকুব আলীর পুত্র আতাউর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূইয়া এসআই জহিরুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। মামলার আসামীরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান দক্ষিণ লেঞ্জাপাড়ার মৃত নিম্বর আলী তালুকদারের ছেলে আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, তালুকহড়াইয়ের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে সাবেক পৌর মেয়র মো. ছালেক মিয়া, নিশাপট গ্রামের আজম খানের ছেলে শায়েস্তাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল খান, কদমতলীর হাজী লাল মিয়ার ছেলে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান, পুরাসুন্দার চুনু মিয়ার ছেলে ইসহাক আলী সেবন, নিজগাঁও’র মৃত আজগর আলীর ছেলে মাসুদউজ্জামান মাসুক, পশ্চিম বড়চরের মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে আবুল কাশেম শিবলু, হাসপাতাল সড়কের মৃত ইয়াকুব মুন্সির ছেলে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সৈকত, ব্রাহ্মণডুরার মৃত ভিংরাজ মিয়ার ছেলে হুসাইন আদিল মো. জজ মিয়া, সুকরিপাড়া শরীফপুরের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে আব্দুল মুকিত, বিরামচরের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে ফজল উদ্দিন তালুকদার, একই এলাকার খাইরুল আলম মো. আলী, আব্দুল হামিদ তালুকদারের ছেলে আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, তালুকগড়াইর মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুল মুকিত, উবাহাটার কাউন্সিলর আবু তাহির মিয়া, শ্যামপুরের মৃত জাফর আলী লুদাই’র ছেলে আহমেদ ছানি সিতার, মাসুদুর রহমান বাবু, পূর্ব বড়চরের প্রসেনজিত দেব, নসরতপুরের আব্দুল হামিদের ছেলে ফখরুল হামিদ, তালুকহড়াইর আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোশারফ সাহেদ, নসরতপুরের আব্দুস সালামের ছেলে কামরুল হাসান রাসেল, মহলুলসুনামের সামছুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম, বিশাউড়ার মৃত নজির উল্লার ছেলে তাজুল ইসলাম রানু, অলিপুরের সাজু মিয়ার ছেলে বদরুল আলম দিপন, বিরামচরের মরম আলীর ছেলে নূরুল হক লিটন, মহলুলসুনামের খুর্শেদ আলীর ছেলে ইফতেখার রহমান ইকবাল, সাবাজপুরের জামাল আহমেদ দুলাল, মহলুলসুনামের রমিজ টিটির ছেলে শরীফ উদ্দিন সুমন, নূরপুরের আক্তার হোসেনের ছেলে তোফাজ্জুল হোসেন অপু, চরনূর আহমেদের মৃত আজব আলীর ছেলে ওয়াহিদুর রহমান শাকিল, নূরপুরের আক্তার হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন টিটু, নসরতপুরের তানভির আহমেদ শফিক, আলাপুরের রবিন তালুকদার, পশ্চিম বড়চরের খেলু মিয়া ওরফে এমডি খেলোয়াড়, বাগুনিপাড়ার মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে ইছন মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতিরথানের আব্দুল হাই’র ছেলে আব্দুর রশিদ, শায়েস্তাগঞ্জের বিরামচরের ফুরুক মিয়ার ছেলে মুরাদ তালুকদার, পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার সেন্টু রায়, নূরপুরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে রানা মিয়া, জগন্নাথপুরের সোবহান মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, চুনারুঘাটের জিকুয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আলী আকবর, রামশ্রী গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আব্দুল আলী, ব্রাহ্মণডোরার নজির হোসেনের ছেলে দিলু মিয়া চৌধুরী, নূরপুরের আক্তার হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন পিন্টু, সুতাং চানপুরের আলী নেওয়াজের ছেলে মোবারক হোসেন, পূর্ব বড়চরের তোফা মিয়ার ছেলে আকিকুর রহমান অপু, হাসপাতাল সড়কের প্রতাফ রায়, একই এলাকার অসীত দাশ মন্টু, বিরামচরের জুনাইদ আহমেদ, নিশাপটের ছয়ফুল্লার ছেলে আছকির মিয়া, একই এলাকার সানু মিয়ার ছেলে ইলিয়াছ মিয়া, কদমতলীর মহিউদ্দিন দুলাল, একই এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে জামাল আহমেদ রাজ, দক্ষিণ বিশাউড়ার ছাবু মিয়ার ছেলে কামাল হাজারী, চানপুরের আব্দুস সালাম মনু, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুকড়িপাড়া গ্রামের মৃত সমসু মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম সজিব, একই এলাকার মৃত তোরাব আলীর ছেলে মামুন মিয়া, সুতাং নোয়াগাঁও’র ফিরোজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নান নানু, শ্রীরামপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে জিলু মিয়া, শিমুলতলার মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে ফুরুক মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল মিয়া, জগন্নাথপুরের রহম আলীর ছেলে কবির মিয়া, মহলুল সুনামের বাবুল মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া, একই এলাকার তাহির মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া, তালুকহড়াইর মাহিন মিয়া, লেঞ্জাপাড়ার ফজল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ, তালুকগড়াইর জিতু মিয়া লস্করের ছেলে প্রান্ত তরফদার, উবাহাটার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে কামরুজ্জামান আল রিয়াদ, পূর্ব বিরামচরের আব্দুর রহমানের ছেলে সেলিম মিয়া, মহলুল সুনামের ফুল মিয়ার ছেলে আজমান শাহ, নিজগাঁওর রুবেল মিয়া, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর সুলতানশীর মৃত আহসান আলী মসই’র ছেলে কিতাব আলী, মদনপুর আলাপুরের বাবর আলীর ছেলে কামাল মিয়া, সুচিউড়ার জলফু মিয়া সর্দারের ছেলে মাসুক মিয়া, চানপুরের কদ্দুছ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন দুলাল, তালুকহড়াইর ছালেক মিয়ার ছেলে আল রাজিউ সীমান্ত, একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে এ্যানি মিয়া, চরহামুয়ার গউছ মিয়ার ছেলে নোমান আহমেদ মিন্টু, তালুকগড়াইর সিরাজ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুকড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল মুকিতের ছেলে তানভির আহমেদ ইমন, সুরাবইর মাসুক মিয়া ভান্ডারি মেম্বার, পুরাসুন্দার সেলিম মিয়া, নিশাপটের ইব্রাহিম মিয়া, লেঞ্জাপাড়ার রমজান আলীর ছেলে নাহিদুর রহমান শুভ, উলুকান্দির মধু মিয়ার ছেলে শাহাবুদ্দিন, উবাহাটার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন, শিমুলতলার রমিজ মিয়া, চুনারুঘাটের উলুকান্দি গ্রামের ফজর আলী, শায়েস্তাগঞ্জের লেঞ্জাপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান হাবিব, নতুন ব্রীজ এলাকার কাচা মিয়ার ছেলে কুতুব আলী, কুটিরগাঁও গ্রামের শামীম মিয়া, উবাহাটার শাকিল মিয়া, কুটিরগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিফাত মিয়া, শানখলার রহিম উদ্দিন নিজু, উবাহাটার আজগর আলীর ছেলে লিটন মিয়া, কুটিরগাঁও গ্রামের জমশেদ মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল, শায়েস্তাগঞ্জের চরনুর আহমেদ গ্রামের সাদ্দাত মিয়ার ছেলে কাজি সোহাগ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে জনি মিয়া, চুনারুঘাটের উবাহাটা গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে শিহাব মিয়া, লেঞ্জাপাড়ার রমিজ আলীর ছেলে জুনাইদ মিয়া, চানপুরের মজিদ মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, নোয়াগাঁওর শহীদ মিয়ার ছেলে কাশেম মিয়া, নিজগাঁওর মনির হোসেনের ছেলে করিম হোসেন সেলিম, শায়েস্তাগঞ্জের মানিক মিয়া, ব্রাহ্মণডোরার মৃত লাল মিয়ার ছেলে টিপু সুলতান, অলিপুরের মো. স্বপন, উলুহর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে সজিব মিয়া, অলিপুরের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে পারভেজ মিয়া, পশ্চিম বড়চরের মিজানুর রহমান, বিরামচরের টিএম আফজল, একই এলাকার ফরিদ হাসান, কেশবপুরের মৃত নূর হোসেনের ছেলে কামাল মিয়া, অলিপুরের সফিক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া, চুনারুঘাটের উলুকান্দি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মো. জামাল মিয়া মেম্বার, শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিম বড়চরের মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পার্কিংয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ করা হয়। তাছাড়া সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ছাত্র গুরুতর আহত হয়।