মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার হাফিজপুরে মনিরা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে শ^শুর বাড়ির লোকজন। এতে সন্দেহ আরো ঘনিভূত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া উচাইল গ্রামের আব্দুল হাই’র কন্যা মনিরাকে বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর গ্রামের কামাল মিয়ার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে কামাল মিয়া দুবাই চলে যায়। এর পর থেকেই মনিরার উপর শুরু হয় শ^শুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন। বিষয়টি মনিরা তার বড় বোন মদীনাকে জানায়। সদর হাসপাতালে মদীনা আপেক্ষ করে বলে, ঘটনার আগে তার বোনকে শ^শুর বাড়ীর লোকজন মারাত্মক নির্যাতন করেছে। বিষয়টি মনিরা ফোনে তাকে জানিয়েছিল। এর কিছুক্ষণ পর মনিরার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত মোবাইল নাম্বার থেকে মদীনাকে ফোন করে জানানো হয়, তার বোন হাসপাতালে মারা গেছে। রাত ৯টায় তারা হাসপাতালে এসে দেখেন মনিরার লাশ। তবে এসময় লাশের পাশে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা তার বোন মনিরাকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার শ^শুর বাড়ীর লোকজন। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার এসআই ওয়াহেদ গাজীসহ একদল মহিলা পুলিশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে মনিরার মুখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।