জুমার খুৎবায় মাওলানা সৈয়দ আজহার আহমাদ এবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের পৌরসভা জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা সৈয়দ আজহার আহমাদ এবাদ বলেছেন- আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে। অথচ আজান হলে মুসলমান মসজিদে আসে না, মাথায় টুপি পড়ে না, মুখে দাড়ি রাখলেও বিপদে পড়লে দাড়ি কেটে ফেলে, পুরুষরা ঘন্টার নিচে প্যান্ট পড়ে, চার কালেমা অনেকেই জানে না। তাহলে একজন মুসলমান কিভাবে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করেছে দাবী করতে পারে? কয়েকদিন আগেও কেউ ছিল প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, রেল মন্ত্রী। এখন তারা কই, উসিলা মাত্র একটা, সবাই ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশ্বাস করতে হবে সকাল বেলার ধনীরে তুমি ফকির সন্ধ্যা বেলা। একেক জন মন্ত্রীর কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা, এসব টাকা কোথা থেকে তারা পেয়েছে? আমি একজন ইমাম, পৌরসভা মসজিদের ইমাম, আমার ২৪ ঘন্টা ডিউটি, মাসে বেতন সাড়ে ৭ হাজার টাকা, মুয়াজ্জিন সাহেবের বেতন ৫ হাজার টাকা, এসব টাকায় কি পরিবার চলে? বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বেতনের চাকুরীজীবীরা হলো ইমাম মুয়াজ্জিনের চাকুরী। কেউ জিজ্ঞাসাও করে না, আমরা কেমনে চলছি। আরও বলে- ইমাম মুয়াজ্জিন সাহেব তো ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবী পড়েই চলাফেরা করেন। এক্ষেত্রটাকে অবহেলার চোখে দেখা হয়। এসব কারণে পরিবারের সন্তানদেরকে কেউ মাদ্রাসায় পড়াতে চায় না। মন্ত্রী এমপিদের বেতন লাখ লাখ টাকা, আবার তারা হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেই চলেছে। তাদের আর পেট ভরে না। এর জবাব যেমন দুনিয়াতে দিতে হবে, আখেরাতেও দিতে হবে। বাংলাদেশে এমন একটি সরকার দরকার, যারা গরীবের টাকা মেরে খাবে না, বিদেশে টাকা পাচার করবে না, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে, সর্বোপরি তারা সৎচরিত্রবান হবে। ওলামায়ে কেরামগণ নবীগণের ওয়ারিশ। তারা নবী রাসুলদের কথা মানুষকে শুনান। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। নতুবা মানুষকে পস্তাতে হবে। মানুষকে কর্মমুখী হতে হবে। কর্মছাড়া এবং আল্লাহর মেহেরবানী ছাড়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে না। নিয়ত সহি হতে হবে। মাওলানা এবাদ- সূরা আসর তেলাওয়াত করে তিনি এর ব্যাখ্যা প্রদান করেন এবং সূরা আসরের তর্জমা মোতাবেক সময়ের মর্যাদা দেয়ার, প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার, নেক আমল করার, হকের পথে থাকার এবং সর্বোপরি সর্বাবস্থায় সবর করার প্রতি আহবান জানান।