স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদী থেকে অবাদে বালু উত্তোলন ও পাচার করে যাচ্ছে একটি মহল। সরকারি কোনো ইজারা না থাকলেও প্রতিদিন নদীর রেলব্রীজসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বালু তুলে সেগুলো নৌকা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে। যত্রতত্র বালু উত্তোলন করায় এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাঁধ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রেল ব্রীজ। নদীর দুই পাড়ের ভাঙনে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, জনপথ, রাস্তাঘাট, কবরস্থান। ব্রীজগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুতাং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি আলগাপুর নামক স্থানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে কান্দিগাঁও গ্রামের বালু ব্যবসায়ী রফিক মিয়াকে বালু বোঝাই নৌকাসহ আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে জরিমানা এবং কারাদ- দেয়া হয়। সেই সাথে ড্রেজার মেশিনসহ বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এর পর কয়েক মাস বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। সম্প্রতি আবারো নতুন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার আদমপুর, লাখাই এবং সদর উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে এসে মররা, লাদিয়া, পুরাসুন্দা, শ্রীরামপুর, মদনপুর, নোয়াগাঁও, আলগাপুর, সুতাং ব্রীজের পাশ, সুতাং রেলওয়ে ব্রীজের পাশ এবং মহাসড়কের ব্রীজের পাশ থেকে উত্তোলন করা বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। প্রতি নৌকা বালুর জন্য ১২শ’ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা করে দিতে হচ্ছে। টাকা না দিলে কোনো নৌকা ওইসব স্পটে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু দিনের চেয়ে রাতে বেশি পাচার হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বালু উত্তোলন হয় বেশি। স্থানীয় এলাকাবাসী অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।