ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পূর্বাচলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করার কথা ছিল শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ‘দ্য বোট।’ কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে বিসিবি। স্টেডিয়ামের নাম, নশকা সব পাল্টে যাবে। এজন্য স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের দরপত্র বাতিল করেছে বোর্ড। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিসিবির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ আগস্ট। একদিন আগেই সেই দরপত্র বাতিল করলো বোর্ড।
রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৩৭ একর জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সদ্য বিগত সরকারের। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ নির্মাণের কথা ছিল। নামমাত্র মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ পেয়েছিল বোর্ড। এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের জন্য অর্ধশত কোটি টাকা খরচও করে ফেলেছে বিসিবি। এই অর্থ ব্যয় হয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়ামের ডিজাইন এবং প্রজেক্টের কাজে নানা খাতে। কাজের অগ্রগতি বাড়াতে প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল বিসিবি। এই অর্থ নাজমুল হাসান পাপনের সবশেষ বোর্ড সভায় অনুমোদন করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন স্টেডিয়ামটি আলোর মুখ দেখতে পারছে না।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো উন্নয়ন এবং সংস্কারমূলক ক্রীড়া স্থাপনার কাজে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু ‘দ্য বোট’ তৈরিতে বিসিবি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু ফারুক আহমেদের বোর্ড সেদিকে যাচ্ছে না। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বোর্ড। এজন্য নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে চায় বিসিবি। তবে স্টেডিয়ামের জায়গায় যে মাঠ ও উইকেট তৈরি হয়েছে সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই পথ খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার এজন্য পূর্বাচল স্টেডিয়ামে ভিজিট করবেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বিসিবির আয়-ব্যয় এবং অন্যান্য অসঙ্গতি ঠিক এবং কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে ইন্ডিপেনডেন্ট অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ড সভায়।