বিশেষ প্রতিবেদন….

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ ব্র্যাক সিডের হাইব্রিড থাইল্যান্ড-১ জাতের শসা চাষে চমক দেখালেন কৃষক মোঃ মাউলা মিয়া। বাহুবল উপজেলার পূর্ব শিমুলিয়াম গ্রামে এই জাতের শসা চাষ করে সাড়া ফেলেছেন তিনি। বর্ষাকালে এ জাতের শসা চাষে তিনি ব্যবহার করেছেন মালচিং পদ্ধতি ও জৈব বালাইনাশক।
প্রায় ৩০ শতক জমিতে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করে এ পর্যন্ত তিনি ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। বাকি সময়ে আরও ৭০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন ওই কৃষক।
তার এই সফলতা দেখে অনেকে আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন শসা চাষ। তার কাছ থেকে নিচ্ছেন চাষের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ। দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে পূর্ব শিমুলিয়াম গ্রামের কৃষক মোঃ মাউলা মিয়া ওই পরিমাণ জমিতে ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় মালচিং পদ্ধতিতে থাইল্যান্ড-১ জাতের শসা চাষের উদ্যোগ নেন।
জমিতে বীজ রোপণ করেন। কিছু দিনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার চারা গজায়। চারাগুলোর ওপর বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরি মাঁচানে লতাপাতা বিস্তার করতে শুরু করে। রোপণ করার প্রায় ৩৬ দিনের মধ্যেই মাঁচায় ঝুঁলছে শসা আর শসা। গাছ থেকে সংগ্রহ করে প্রতি কেজি শসা ৪০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আরও প্রায় ২৫ দিন পর্যন্ত গাছ থেকে শসা সংগ্রহ করা যাবে।
কৃষক মোঃ মাউলা মিয়া বলেন, উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম স্যার আমাকে সাহস ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমি জমি আবাদ করে কঠোর শ্রম দিয়েছি। প্রায় ৩০ শতক জমিতে শসা চাষ করে চমৎকার ফলন পেয়েছি। আগামী মৌসুমে আরও বেশি পরিমাণে জমি আবাদ করে শসার চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে। আমার ন্যায় এলাকার অন্যান্য কৃষকদেরও শসা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, থাইল্যান্ড-১ জাতের শসা আমাদের এলাকায় নতুন। মোঃ মাউলা মিয়ার শসা চাষ দেখে আমাদেরও আগ্রহ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে আমরাও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি শসা চাষ করব।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, শসা চাষের ব্যাপারে মোঃ মাউলা মিয়াকে সকল ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছি। আরও যারা শসা চাষ করতে চান আমরা তাদেরকেও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত। শসা চাষে লাভবান হওয়া যায়।